ErrorException Message: Argument 2 passed to WP_Translation_Controller::load_file() must be of the type string, null given, called in /home/bengalis/public_html/wp-includes/l10n.php on line 838
https://www.bengalisarcasm.com/wp-content/plugins/dmca-badge/libraries/sidecar/classes/ খানা'স এর নাগা উইংস খাইয়ে প্রেমিকার আম্মুকে পটিয়ে প্রেমিকাকে বিয়ে করে ফেললো মিরপুরের মুশফিক!

খানা’স এর নাগা উইংস খাইয়ে প্রেমিকার আম্মুকে পটিয়ে প্রেমিকাকে বিয়ে করে ফেললো মিরপুরের মুশফিক!

মুশফিকের রিলেশনের বয়স প্রায় ১২ বছর!সেই স্কুল লাইফ থেকে প্রেমিকা সাদিয়ার পেছনে ঘুর ঘুর শুরু। মিরপুরের ছেলে বলে ধানমন্ডি বাস করা ড্যাডি’স প্রিন্সেস সাদিয়া মুশফিককে পাত্তা দেয় নি কিছুদিন।

মুশফিক মিরপুরে থাকে বলে তাকে ‘ক্ষ্যাত, গরীব অউউ ইউ আর ছ্যো প্যুর’ বলে ঠোট উল্টিয়ে প্রেমিকা সাদিয়ার নানান তাকে ভৎসনা করেছে ঠিক। কিন্তু মুশফিক তাতে ও হাল ছাড়ে নি উলটো দিনের পর দিন চেষ্টা করে গেছে।কারণ তাকে কেউ একজন মোটিভেশনাল স্পিচ ঝেড়ে বলেছিল (কেউ একজনের নামটা বলতে চাচ্ছি না। নাম বললে অনেককেই চিনে ফেলবেন) মানুষ সব পারে আর তুই পারবি না?যা লেগে যা ব্যাটা!

এর পর থেকে গেটে তালা মেরেও আর থামানো যায় নি মুশফিককে। বন্ধুর বাসা থেকে নোটস আনতে যাচ্ছি, পেট খারাপ পাশের ফার্মেসিতে স্যালাইন আনতে যাচ্ছি কিংবা স্যারের বাসায় যাচ্ছি বলে ঠিকই প্রেমিকা সাদিয়ার সাথে সে ছুটে গেছে সদূর ধানমন্ডিতে।

প্রতিদিন লোকাল বাসে করে ঘামতে ঘামতে ধানমন্ডি সাদিয়ার বাসার সামনের গলিতে দাঁড়িয়ে থাকতো। তারপর মাগরিবের আজানের পর আবার ফিরতি বাস ধরে মিরপুর। এ যেন রীতিমতো রোমিও জুলিয়েটকে ও হার মানায়!

বৃষ্টির দিন এলে তো প্রেমিক মুশফিকের দুর্ভোগ আরো যেন বেড়ে যেত। রীতিমতো সাত সাগর তেরো নদী পার হয়ে মিরপুরের বাসে করে ভাসতে ভাসতে কিংবা সাতাঁর কাটতে ধানমন্ডিতে।

শেষে ভাগ্যদেবী মুখ ফিরে চাইলেন। মুশফিকের ডেডিকেশনে মুগ্ধ হয়ে প্রেমের টানে প্রেমিক সাদিয়া ধানমন্ডি থেকে মিরপুরে ছুটে আসল তার প্রেমিন মুশফিকের কাছে।

কিন্তু রবীন্দ্রনাথের শেষের দুই লাইন ‘প্রেমিকের বাবা মেনে নিতে পারলেও প্রেমিকের না মেনে নিতে চাইলো না’ যেন আবারো সত্য হলো।

তাদের সুখী প্রেমের মাঝখানে চীনের মহাপ্রাচীর হয়ে দাঁড়াল সাদিয়ার আম্মু। বিয়ে না দেওয়ার কারণ হিসেবে বলেন ‘বাবারে মিরপুর কি দূর!” এই বলে দূর দূর করে কুকুরের মতো বাসা থেকে প্রেমিক ও তার বাবাকে তাড়িয়ে দিল

তারপর মুশফিক কেঁদে কেটে অস্থির!সাদিয়াকে পাবার জন্যে দিনরাত এক করে খোদার দরবারে প্রার্থনা। মুশফিককে হতাশ হতে হলো না।

এক রাতে স্বপ্ন পেল সাদিয়ার আম্মুকে পটানোর মন্ত্র।তারপর সোজা খানা’স এ। সেখান থেকে খানা’স নাগা উইংস কিনে প্রেমিকার বাসায়।

সাদিয়ার আম্মু তো এবার দরজা খুলতেই চায় না।মুশফিক সাদিয়ার আম্মুর হাতে খানা’স নাগা উইংস হাতে দিয়ে সোজা পড়ে গেল পায়ে।

পায়ে পড়ে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলল, দোহাই আম্মু থুক্কু(শ্বাশুড়ি আম্মু) এটা একবার খান। তারপর ভালো না লাগলে আমাকে ঝাঁটা দিয়ে পিটায়া বাসা থেকে বের করে দিবেন।

যদি ভালো লাগে তাহলে আমি যা চাইবো তাই দেবেন।বলুন রাজি প্লিজ আম্মু

সাদিয়ার আম্মুর পাথর হৃদয় গললো এবার।

তিনি বললেন ‘আচ্ছা যাও।আগে খেতে দাও’

এক বাইট খেয়েই সাদিয়ার আম্মু মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গেলো।

তিনি গলা ছেড়ে বললেন ‘এ কি খাওয়ালে বাবা।তুমি যা চাও সব পাবে। বলো কি চাও?’

মুশফিক যেন সাদিয়ার আম্মুর কথা শুনে আকাশের চাঁদ হাতে পেয়ে গেল।

সাদিয়ার আম্মু আবারো বললেন, ‘বলো এর বিনিময়ে তুমি কি চাও বাবা?তুমি যা চাও তাই দিবো। তুমি শুধু আমাকে আরেক পিস খানা’স এর নাগা উইংস টা এনে দাও!

-আম্মু আপনাকে চাই

সাদিয়ার আম্মু রাগ ক্ষোভে বিস্ময়ে হতাশায় ফেটে তীব্র জোরে চিৎকার দিয়ে বললেন ‘হারামজাদা আমাকে চাস?কত্ত বড় সাহস তোর?’

প্রেমিক মুশফিক এবার হিরো আলমের মতো ভাব নিয়ে বলল, ‘দাঁড়ান আগে আমার একটা কতা তো শুনবেন।

তোর আর কি কথা।হারামজাদা লম্পট। ছিহ ছিহ এমন লম্পটের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দেবো?

‘শুনুন!আমি বলেছি আপনাকে আমার আম্মু বানাতে চাই। ’

শুনে সাদিয়ার আম্মু খুশিতে গদগদ হয়ে বললো ‘আগে বলবা না বাবা। তুমি আমাকে খানা’স নাগা উইংস খাইয়েছো আমি বলেছিলাম তুমি যা চাবে তাই পাবে। এই নাও আমার সাদিয়াকে তোমার হাতে তুলে দিলাম’

বলে তিনি সাদিয়ার মোটা গবদা হাত প্রেমিক মুশফিকের হাতের উপর রেখে খানা’স নাগা উইংস এর উপর আরেকটা কামড় বসালেন।

You may also like...