গরুর মাংস দিয়ে খেতে বলায় শ্বশুড়ের মাথা ফাটিয়ে দিল জামাই!
গরুর মাংস দিয়ে খেতে বলায় শ্বশুড়ের মাথা ফাটিয়ে দিল জামাই।
সদ্য বাঙালির কাছ থেকে বিদায় নিয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচাইতে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আজহা। ঈদ-উল-আজহা বিদায় নিলেও বাঙলার ঘরে ঘরে রেখে গেছে ফ্রিজ ভর্তি তরতাজা মাংস।
অতি চালাক বাঙালি আবার অতিথি আপ্যায়নে ব্যবহার করছে এসব মাংস। কোরবানির মাংস দিয়ে সকাল-দুপুর- রাত্রি তিনবেলা সারছে দৈনন্দিন আহার।তাতে বাজার করার বাড়তি খরচ ও বেঁচে যাচ্ছে।
মেয়ের বাড়ি ও ছেলের বাড়িতে এখন ইচ্ছামতো নিমন্ত্রণ করছে অতিথিদের। ঈদ ভ্রমণ উপলক্ষ্যে মেয়েরাও নিজেদের বাবার বাড়িতে আসা শুরু করেছে স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে।
কোরবানির মাংস হাতের কাছে পেয়ে পরিবারের বাবারা যেন ঈদের চাঁদ হাতে পেয়েছে। জামাই আদর নামক উটকো ঝামেলা থেকে তাদের মুক্তি দিয়েছে এই মাংস।
বেড়াতে আসা মেয়ের জামাই রা এই মাংস নিয়ে পড়ে গেছে মহাবিপদে। এলাকার এক নতুন জামাই কে শ্বশুড় বাড়িতে জামাই আদর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করায় তিনি বিরক্ত মুখ করে বলেন,
“ আরে বইলেন না ভাই কি বলবো দু:খের কথা।কোরবানির মাংস দিয়ে খেতে খেতে লাইফটা ত্যাজপাতা হয়ে গেছে।
জামাই আদর না কচু! আসার পর থেকে শুধু মাংস দিয়ে খাওয়াচ্ছে।
সকালে খেলাম রুটি-মাংস, দুপুরের ম্যানুতে ভাবলাম অন্য কোন আইটেম দিবে পরে দেখি লাঞ্চে ও পোলাও-মাংস, রাতে তো অবস্থা আরো ভয়াবহ সেখানেও গরুর কালাভূনা আর সাদা ভাত।
বুঝলেন ভাই তিনবেলা গরুর মাংস খেয়ে নিজেকে এখন আপাদমস্তক গরু গরু মনে হচ্ছে। কথা বললে মনে হচ্ছে আমি কেমন গরু হয়ে গেছি।আমি স্বাভাবিক মানুষের মতো কথা বলতে পারছি না গরুর মতো হাম্বা হাম্বা করছি। ” বলতে গিয়ে তিনি আবেগে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন।
এদিকে এই ইন্টারভ্যু’র পর ঘটে যায় আরেক ঘটনা। জামাইকে মাংস দিয়ে খেতে বলায় শ্বশুড়ের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে ওই জামাই।ধারনা করা হয় তীব্র ক্ষোভে ঘটিয়েছে এই ঘটনা।
এই ঘটনায় জামাইকে স্থানীয় জনতা পুলিশ দিতে চাইলে এলাকার সব জামাইরা তার পক্ষ্যে তীব্র আন্দোলনে নামে।
এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করলে ও ঘন্টা দুয়েক পর আইন শৃঙখলা বাহিনী পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
জামাই’য়ের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে তার নম্বরে ফোন দেওয়া হলে তিনি রং নম্বর বলে আমাদের ফোন কেটে দেন।