ওয়াসার পানিকে ট্যাং এর শরবত ভেবে খেয়ে ফেলেছে গ্রাম থেকে ঢাকায় বেড়াতে আসা মানুষেরা!



পানির চারটি স্তরসহ ৩৪টি পয়েন্টে রাজধানীর ওয়াসার পানি পরীক্ষা করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২ জুলাই পরীক্ষার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমানের মতামত শুনে আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেওয়া হয়।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশে আদালত বলেছেন, পানি পরীক্ষার ব্যয় বহন করবে ওয়াসা। যা সমন্বয় করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। পরীক্ষার জন্য পানির নমুনা সংগ্রহে ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে

-প্রথম আলো



তবে ওয়াসা কতৃপক্ষ ভেজাল পানির দায় নিতে নারাজ।তারা বলছে এই পানি বিশুদ্ধ এবং শতভাগ সুপেয় পানি। এটি পানি মানতে নারাজ। কারন এটির রঙ অস্বাভাবিক রকমের হলুদ।

প্রথম প্রথম ঢাকায় বেড়াতে আসা অনেকের পানিকে ট্যাং এর শরবত ভেবে এই পানি খেয়ে ফেলছে। এরকম এক ঘটনা ঘটলো মিরপুরে। বরিশাল থেকে বেড়াতে এসে আক্কাছ আলী তার ভাইয়ের বাসা মিরপুরে উঠেছিল।



ছবি:প্রথম আলো

ফ্রেশ হওয়ার জন্যে ওয়াশরুমে পানির ট্যাপ ছেড়ে দেখে সাদা পানি নয় বের হচ্ছে হলুদ ট্যাং এর শরবত। সে এটা ট্যাং ভেবে দ্রুত এক গ্লাস খেয়ে ফেলে। জমিয়ে রাখবে এই চিন্তায় বালতি ভর্তি করে রাখছে ট্যাং এর শরবত। এছাড়া তিনি গ্রামেও এই শরবত ছেলেমেয়ের জন্যে যাতে নিয়ে যাওয়া তার জন্যে বোতলে জমিয়ে রাখেন।

এদিকে এটি খাওয়ার পর আক্কাছ আলী বিরাট অসুস্থ হয়ে পড়ে।তাকে নিয়ে তার ভাইপো ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে জুরুরি বিভাগে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়।এখন কিছুটা স্বাভাবিক।

তাকে কেন এই পানি খেয়েছিলেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ’মনু আল্লাহ’র দুনিয়ায় যে কতকিছু আছে তা ঢাহা না আইলে জানতাম ই না। মুখ ধুইয়ার জন্যে কল ছাইড়া দেখি ট্যাং এর শরবত বার হইতাসি। মুই সরল মনে খাইসি। কিন্তু কে জানতো পানি এমুন। মুই এহন বরিশাল যাইতে চাই।মুই আর ঢাহা থাহুম না। মোরে লঞ্চে কইরা বরিসাল পাডাইয়া দাও মনু। আমি যামু গা।’ বলতে বলতে তিনি চিৎকার দিয়ে হাসপাতালের বেড থেকে লাফিয়ে পড়েন।



You may also like...