শো রুমে পাঞ্জাবী ট্রায়াল দিতে গিয়ে পাঞ্জাবী পড়ে হাঁটতে হাঁটতে বাইরে চলে এসে উধাও!
দেশজুড়ে ছোট বড় সব শপিং সেন্টারে কেনা কাটার যেন এক হিড়িক লেগে গেছে। একেকজন তিনটে চারটে করে জামা কিনছেন। স্ত্রী-সন্তান পরিবার নিয়ে কেনাকাটার ধুম পড়ে গেছে। কে কি কিনবে এটা নিয়ে চলছে এখন মল্লযুদ্ধ।
উচ্চবিত্ত পাড়া থেকে কেনা কাটার এই ধুম এসে মিশেছে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পাড়ায় ও।ঈদ তো শুধু একা কারো বাপের সম্পত্তি নয়। ঈদ সবার। তাই অতি নিম্নশ্রেনীর মানুষ ও মেতেছেন কেনা কাটার আনন্দে।
আর্থিক দিক থেকে সামান্য অবস্থা খারাপ মানুষেরা নিজেরদের সাধ্যমতো ক্রয় করছেন। ফুটপাত অথবা খুপড়ি দোকান গুলো থেকে। তবুও তাদের এতটুকুন মন খারাপ নেই।
কিন্তু সবচেয়ে বেশী ঝামেলায় পড়েছেন দেশের বেকার ও ব্যাচেলার শ্রেণির অতি নিম্নটাইপের মানুষজন।তারা ইচ্ছে করলেও ফুটপাত থেকে কিনতে পারছেন না। কেউ যদি দেখে ফেলে? এই ভয়ে!
আবার পকেটের টান থাকার কারনে যেতে পারছেন না রঙ চকচকে শোরুম গুলোতেও। প্রাইস ট্যাগ দেখেই রক্ত হিমশীতল হয়ে যাচ্ছে। কেউ বাথরুম চাপার কথা বলে দৌড়ে বের হয়ে আসছেন।
তবে সাহস করে জনৈক এক যুবক ঢুকে পড়লেন রাজধানীর বসুন্ধরার কমপ্লেক্স এক অভিজাত দোকানে । এসেই একটা নীল পাঞ্জাবী পছন্দ করে চলে যান ট্রায়াল রুমে। পাঞ্জাবী টা কেমন মানিয়েছে /গায়ে ঠিক হবে কি না এসব দেখতেই তিনি ট্রায়াল রুমে যান। পাঞ্জাবী পড়ে এসে বাইরে দেখেন ফিটফাট।
“নীল পাঞ্জাবি টি বেশ মানিয়েছ।সুন্দর হইসে স্যার।এটি নেন ” স্টাফের এমন উক্তি শুনে তিনি খানিক হাসেন। এরপর বলেন “ আচ্ছা আমি এটা পরে ভেতরে কিচ্ছুক্ষণ হাঁটতে পারি?” স্টাফ বোকার মতো বলে ফেলেন “হ্যা স্যার কেন নয়?অবশ্যই!”
একটা সময় তিনি হাঁটতে হাঁটতে বাইরে বের হয়ে এসে উধাও হয়ে যান। অনেক খোঁজ করেও সন্ধান মিলতে পারে নি পুলিশ।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে এই যুবককে নীল পাঞ্জাবী টি পড়া অবস্থা শাহাবাগের মোড়ে দেখা গিয়েছিল।