ঝড়-বৃষ্টির সাথে একটু পর পর বীর্যপাতে দিশেহারা নোয়াখালীর মানুষ!
চৈত্র যাব যাব করেছে। বাতাসে চলছে বৈশাখকে বরণ করে নেওয়ার ধুম। একটা সময় বৈশাখ মানেই ছিল জসীম উদ্দীনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতার বিখ্যাত দু’লাইন
‘ঝড়ের দিনে মামার দেশে
আম কুড়াতে সুখ
পাকা জামের মধুর রসে,
রঙিন করি মুখ।’
কিন্তু ইট কাঠ পাথরের এই নগরে বৈশাখ এখন আকাশ কালো করে নামা তুমুল ঝড়।মাতাল হাওয়ায় ভীষন বাড়ি ফেরার তাড়া।
থেমে থেমে শহর ভিজে যাওয়া বৃষ্টি।জল জমা রাস্তা। গোটা পথ ভিজে ঢুলতে ঢুলতে অফিস থেকে বাসায় ফেরা।সন্তানের ইস্কুল ব্যাগ কাঁধে মধ্যবিত্ত বাবার একজোড়া সর্তক চোখ।নাগরিক প্রেমিক রিকশার হুড তুলে নিকটিন ছোঁয়ানো ঠোঁটে প্রেমিকার পাতলা ঠোঁটে আস্ত চুমু!
শহর বৈশাখের এই সুন্দর রূপ টা যেন আরো বেশীমাত্রায় বিশ্রী করে তুলেছে তার ’কালবৈশাখি’ উপাধিটা।
কাল বৈশাখী ভয়ঙ্কর থাবায় আক্রান্ত করে নেয় গোটা বাংলাদেশ কে। নোয়াখালী থেকে সুতিয়াখালী সব জায়গায় কাল বৈশাখী ভর করে ছিনিয়ে নেয় সব। কাল বৈশাখীর ভয়ে তিরতির করে কাঁপে মহীরুহ থেকে ক্ষুদ্র তৃনলতা।
কাল বৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে সবকিছু নিমিষেই ধ্বংস করে দেয়। তার ফিরে আসার আগমনী বার্তায় প্রকৃতি বাজায় ’ধবংসের’ সাইরেন। সাইরেন জুড়ে শুধু হিংস্রতা,ধবংস,বিনাশ,ক্ষয় আর নাশ করে দেওয়ার এক বিস্তর প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতা জুড়ে শুধুই ধবংসের মাদকতা।
সাম্প্রতিক বাংলাদেশের নানান অঞ্চলে আঘাত হানছে নানান কাল বৈশাখী ঝড়। আবহাওয়াবিদরা ‘তিতলি’ ‘মাইকেল’ ‘নার্গিস’ নামে সুন্দর সুন্দর নামে একে অখ্যায়িত করলেও এর ধবংসের মাত্রা অতি ভয়ঙ্কর।
গতকাল বাংলাদেশের দক্ষিনের একটি অন্যতম জেলা নোয়াখালীতে দেখা দিয়েছে এক ভয়াবহ সমস্যা।বৃষ্টিপাতের সাথে সাথে একটু পর পর হচ্ছে বীর্যপাত। নোয়াখালীর একজন বাসিন্দা এই খবরটি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান এই ভয়ঙ্কর ঝড় এবং বীর্যপাতে দিশেহারা স্থানীয় লোকজন।
নোয়াখালীর একজন বাসিন্দা ফেইসবুকে পোস্ট করে জানতে চান’
‘কার এলাকার কি অবস্থা?
আমাদের নোয়াখালীতে প্রচুর বৃষ্টি আর একটু পর পর বীর্যপাত হচ্ছে।’

ফেইসবুক থেকে পাওয়া স্কিনশর্ট
কিন্তু তার এই স্ট্যাটাস কে সম্পূর্ণ গুজব এবং বানোয়াট মিথ্যা আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ কমেন্ট রিডার্স এসোসিয়েশন(BCRA)’র সভাপতি লাইকার মজিদ জানান,
‘ভাইসাহেব খবর সত্য নয়। আমি নিজেই সেইখানে ছিলাম। কোন বীর্যপাতের ঘটনা ঘটে নাই। এটা তার বানানের ভুল।সে বজ্রপাত বানান মিসটেক করে লিখেছে বীর্যপাত।মুর্খ মেয়েছেলে।’
লাইকার মজিদের ভক্তরা তার এই কথাকে যুক্তি ধরে ঘটনা স্থলেই শ্লোগান দেওয়া শুরু করে। অনেকে স্ট্যাটাসের নিচে গিয়ে বানান ঠিক করার জন্যে স্টিকার এবং কমেন্ট করে তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
বি.দ্রঃ[উপরের তথ্যটি পুরোটাই অসত্য বানোয়াট এবং গুজব।স্রেফ আনন্দ এবং বিনোদন দেওয়ার জন্যে ফেইসবুকের একটি গ্রুপ পোস্ট থেকে লেখক মস্তিষ্কের কল্পনাতীত। পাঠক কোন নির্দিষ্টি বর্ণের, গোত্রের,ধর্মের,কিংবা এলাকার মানুষজন হয়ে থাকলে, তিনি ধর্মীয়,জাতীয় অনুভূতিতে আঘাত পেলে লেখক এবং বেঙ্গলি সার্কজম পরিবারের কেউ দায়ী নন! ]