ভাবির সাথে লুডু খেলার সময় ভাবি বলে উঠলেন ‘আমাকে আর কত খাবি।এবার আমার ছোট বোনকে খা!’
ভাবির সাথে লুডু খেলার সময় ভাবি বলে উঠলেন ‘আমাকে আর কত খাবি।এবার আমার ছোট বোনকে খা!’
ভাবির সাথে প্রায়ই লুডু খেলতে বসে এমন যুবকের সংখ্যা বাংলাদেশে অভাব নেই। প্রতিটি ঘরে ঘরে ভাবীদের সাথে একদান লুডু খেলতে যুবকেরা যেন মুখিয়ে থাকেন।
কখন ভাবী ডাকবেন ডেকে বলবেন, ‘চল লুডু খেলি।’ আর তখন ই ভাবীর সাথে খেলতে বসে যাবে।
সকাল সন্ধ্যা রাত যখন ভাবীরা ডাক দেন তখনই লুডুস্টার খুলে বসে পড়েন এসব ভাবীর আদর্শ দেবররা।হারুক জিতুক তাতে তাদের কোন সমস্যা নাই। তারা খালি ভাবীর সাথে খেলতে পারলে ই হলো।
তেমন ই ভাবীর এক আদর্শ দেবর হলো আজগর। যার জীবনের একমাত্র লক্ষ্যে ই হলো ভাবীর সাথে লুডুস্টারে লুডু খেলা। ভাবীর সাথে লুডু খেলার কারনে আজগরের গার্লফ্রেন্ড তাকে ছেড়ে চলে গেছে, আজগর পরীক্ষায় ফেল করেছে, বাসায় মায়ের হাতে পেঁদানি খেয়েছে। তবুও এই আজগর হারামজাদা ভাবীর সাথে লুডু খেলা ছাড়ে নি।
ভাবীর সাথে লুডু খেলতে আজগর সবকিছু করতে পারে। সবকিছু। বন্ধুদের ছেড়ে দিয়েছে। খালি ভাবীর সাথে লুডু খেলবে বলে। ভাবীর কয়েন না থাকলে আদর্শ দেবর আজগর হারামজাদা ইচ্ছা করে হেরে গিয়ে ভাবীকে কয়েন দিয়ে আসে। তবুও ভাবীর সাথে তার খেলা চাই। চাই ই চাই!
আজগর সেদিন লুডু খেলতেসে ভাবীর সাথে। খেলতে খেলতে এক পর্যায়ে ভাবী রাগ করে বলে উঠলেন, ‘কিরে আজগইর্যা এই আমাকে আর কত খাবি।আর কতবার খেলে তোর শখ মিটবে রে তোর?’
আজগর তো ভাবীর কথা শুনে অজ্ঞান হয়ে যাবার উপক্রম।ভাবীর কথা বুঝতে আবার জিজ্ঞেস করে।
‘আমার গুটি আর কত খাবি। আমার ছোট বোনটারে একটু খা। তার গুটি ও তো পেকে গেছে ‘ বলে ভাবী লেফট মেরে চলে যায়।
