মশা মেরে গিনিস বুকে নাম লেখালেন ঢাবি শিক্ষার্থী!
মশা মেরে গিনিস বুকে নাম লেখালেন ঢাবি শিক্ষার্থী!
মানুষ বড়ই অদ্ভুত। অদ্ভুত তাদের শখ, তাদের চাওয়া পাওয়া। মানুষের চেয়েও বেশি অদ্ভুত প্রকৃতি। তাই কখনো প্রকৃতির খেয়ালে অথবা কখনো মানুষের অদ্ভুত শখের কারণে ব্যতিক্রমী সব ঘটনার জন্ম হয়। আর এ সমস্ত ঘটনা এতটাই ব্যতিক্রম যে দ্বিতীয় কোনো মানুষের পক্ষে সে ঘটনা দ্বিতীয়বার জন্ম দেওয়া বা চেষ্টা করার সাহস হয় না। ফলে এগুলো রেকর্ড হয়ে অক্ষুণ্ণ থাকে বছরের পর বছর। ঠাঁই পায় গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।
এবার মশা মেরে গিনিস বুকে নাম লেখালেন ঢাবি শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের রুম নম্বর-৩০১১ ঘটেছে এই ঘটনা।
এর আগে তারমতো একসাথে এত মশা কেউ মারতে পারেনি। তিনিই বিশ্বে সর্বপ্রথম এই কাণ্ড ঘটিয়ে অবাক করে ফেলেছেন।
মশা। আকারে ক্ষুদ্র হলেও অত্যন্ত ভয়ংকর। পৃথিবীতে যতো প্রাণী আছে তার মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে মারাত্মক এই কীট।
ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু- সবই বহন করে এই মশা। শুধু বহন করেই ক্ষান্ত হয় না, সামান্য এক কামড়ে এসব ছড়িয়ে দিতে পারে একজন থেকে আরেক জনের শরীরেও।
এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এডিস মশা। এর জন্ম আফ্রিকায়। চারশো বছর আগে। কিন্তু এর পর এটি পৃথিবীর গ্রীষ্ম মণ্ডলীয় সব এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। ক্ষুদ্র এই প্রাণীটি পরিচিত ‘এশীয় টাইগার’ হিসেবে।
আন্তর্জাতিক এক পরিসংখ্যান বলছে, মশার কারণে শুধু এক বছরে নানা রোগে আক্রান্ত হয় ৭০ কোটির মতো মানুষ। তাদের মধ্যে মারা যায় ১০ লাখেরও বেশি। বাংলাদেশেও প্রতিবছর বহু মানুষের মৃত্যু হয়।
শুধু এবছরের জুন-জুলাই মাসেই এডিস মশা-বাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে দশ হাজারের মতো মানুষ। সরকারি হিসেবে এপর্যন্ত মারা গেছে আটজন। কিন্তু আশঙ্কা করা হয় এই সংখ্যা এরচেয়েও বেশি।
মশা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে বাংলাদেশে বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় বছরের পর বছর ধরে মশক নিধনের জন্যে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও এডিস মশার কারণে যে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার সংক্রমণ ঘটে সেই মশা এখন মানুষের কাছে এক আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।
ঢাবি প্রশাসন মশার নিরোধ যেখানে নীরব সেখানে তারই ভূমিকা যেন ঢাবি প্রশাসনের গালে চপটেঘাত।