মাস্কের দাম বেড়ে যাওয়ায় অন্তর্বাস দিয়ে মুখ ঢেকে মাস্কের খরচ বাঁচিয়ে দিল বরিশালের দুই বন্ধু!
গতোকাল দেশে তিনজন করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছেন।আর তাতেই করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলাদেশে। আর করোনা আতঙ্কে সবচেয়ে বেশী ফায়দা লুটেছে মুনাফালোভী স্বার্থান্বেষী মহল। তারা মাস্কের দাম হু হু করে বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাজার ঘুরে জানা যায় মাস্কের দাম এখন আকাশচুম্বী। যা সাধারণ মানুষের প্রায় ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। পাঁচ টাকার মাস্ক এখন বিক্রি হচ্ছে প্রায় দশগুন দামে অথাৎ পঞ্চাশ টাকায়। তারচেয়ে আরো একটি দামী মানে ৩০ টাকার মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকায়। আবার কোন কোন স্থানে মাস্কের তীব্র সংকট ও দেখা যাচ্ছে।
কেউ কেউ ফার্মেসীতে মাস্ক না পেয়ে হতাশ হয়ে ঘুরে যাচ্ছে। এমন দুই বন্ধুর সাথে দেখা হয় ঝিগতলা বাসস্ট্যান্ডে। তার করোনা ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে ফার্মাসি তে ছুটে আসেন মাস্ক কিনতে।
কিন্তু মাস্কের দাম দেখে তারা প্রায় ফিট খেয়ে যান। তারপর নিকটস্থ দোকানদাররা তাদের মাথায় পানি ঢেলে তাদের জ্ঞান ফিরিয়ে আনেন। এবং একটি রিকশা ঢেকে বাসায় ও পৌঁছে দেন। দোকানদারদের মানবতা দেখে মাস্কের দাম এত বেশী এটা যেন ভুলেই যান দুই বন্ধু।
তারপর তাদের মাথায় চিকন বুদ্ধি চলে আসে তারা এত টাকা দিয়ে মাস্ক না কিনে চলে যান মেয়েদের আন্ডার গামেন্টস এর দোকানে। সেখান থেকে একটি মেয়েদের অন্তর্বাস(ব্রা) কিনে ফেলেন বেশ কম দামে। তারপর তারা দুই বন্ধু এটি দিয়ে নাক ঢেকে ফেলেন কায়দা করে।
মেয়েদের ব্রা দিয়ে কেন নাক ঢেকেছেন এমন প্রশ্ন করলে তারা আমাদের প্রশ্ন শুনেও না শোনার ভান করে দৌড়ে পালিয়ে যেতে থাকেন।
আমরা তাদের পিছনে দৌড় শুরু করি রহস্য উদঘাটন করতে। দৌড়াতে দৌড়াতে তারা দুই বন্ধু হোচট খেয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। আমরা গিয়ে তাদের ধরে ফেলি। তারা দুই বন্ধু আমাদের দেখে ‘করোনা করোনা’ বলে চিৎকার করে উঠে। আমরা তাদের আশ্বস্ত দিয়ে বলি কোথায় করোনা।কোথাও করোনা নেই ভাই। অযথা ভয় পাবেন না। তারপর আমরা ক্যামেরা চালু ইন্টারভ্যু নেয়া শুরু করি
রিপোর্টার: আচ্ছা ভাই আপনারা মাস্ক না ব্যাবহার করে। এটা কেন ব্যাবহার করছেন? রহস্য কি?
দুই বন্ধু: ধুর মিয়া রাখেন আপনার রহস্য। আগে বলেন মাস্কের দাম বাড়াইসে কেডা?এতো দাম!! হাত ই দেওয়া যায় না মাস্কে।
রিপোর্টার: আপনাদের মাথায় এই বুদ্ধি কেন দিলো?
দুই বন্ধু: বাঁচতে হলে জানতে হবে।কেন আপনি জানেন না?
বলে তারা আবার ছাড়া পেয়ে দৌড় দেয়। শেষে দুই বন্ধুর বুদ্ধিতে মুগ্ধ হয়ে রিপোর্টার তার নিজের জন্যে খরচ বাঁচাতে এমন একটি মাস্ক কিনে বাসায় ফিরেন।