ফেইসবুক স্ট্যাটাস দেখে বাংলাদেশ থেকে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ নিতে চাচ্ছে আই সি সি!

ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় আসর আই সি সি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ বিশেষজ্ঞ খড়ায় ভুগছে এমনটাই নিশ্চিত করছে আই সি সি ক্রিকেটের বড় কর্তারা।আই সি সির প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহর এমন তর্কে আরো ঘি ঢেলে দেন বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পর পর ই।

সবকিছু ছাপিয়ে তিনি জানান সত্যিই আই সি সি ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ খড়ায় ভুগছে অনেকদিন ধরে। এই খড়া কাটানোর জন্যে শীঘ্রই তারা ক্রিকেট এক্সপার্ট নিয়োগ করার জন্যে একটি পদক্ষেপ ও গ্রহন করেছিলেন।কিন্তু শেষ অব্দি তেমন আশার প্রদীপ জ্বালাতে পারে নি কোন আইডিয়াই! সব কিছু মাঠে মারা যায় অভিজ্ঞ ক্রিকেট এক্সপার্ট এর কারনে।

 

মাঠের ক্রিকেটের সৌন্দর্য খসে পড়ছে এক্সপার্ট অপ্রতুলতার কারনে। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে এই খড়ায় চেপে বসেছে এখন। যা রঙিন ঝলমলে ক্রিকেট কে বির্বণ করে ফেলছে।

মাঠের বাইরে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ক্রিকেটের কিংবদন্তীরা অবসরে আছেন।ক্রিকেট বিশ্বের কিংবদন্তীরা যেন নিরুপায়।তারাও এসব এক্সপার্ট দের প্রয়োজন মিটাতে পারছেন না।

স্যার ডেবিড রিচার্রডসন,রিকি পন্টিং,শেন ওয়ান,জ্যাক ক্যালিস,লারা, ভাস,সনেথ জয়সোরিয়ারা ও মাথা নিচু করে ফেলছে। ক্রিকেট এক্সপার্ট এর দায়িত্ব নিতে তারা নারাজ।তারাও ইদানীং লুকিয়ে লুকিয়ে বেড়াচ্ছে আই সি সি কতৃপক্ষ হাত থেকে। কর্তা ব্যাক্তিরা ফোন করলে তারা ফোন ধরছে না। পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের একটাই কথা ‘আমরা এসব পারবো না। আমরা ডিজিটাল এক্সপার্ট নই? ডিজিটাল ক্রিকেট এক্সপার্টদের খুঁজে বের করুন’।

কর্তা ব্যাক্তিরা তাই ডিজিটাল এক্সপার্ট খুঁজতে সাহায্য নিচ্ছেন ফেইসবুক কমেন্ট আর স্ট্যাটাসের। জ্ঞানগর্ভ আলোচনা আর পেজের কমেন্ট থেকে বেছে নেবেন এইসব ডিজিটাল ক্রিকেট এক্সপার্টদের। মোট দশ টি দেশের ক্রিকেট ফ্যান ফলোয়ারসদের টার্গেট করে তাদের এই যাত্রা।

আই সি সি যেন অনেকটাই সফল ও। তারা তাদের বহুল আঙখাকিত ক্রিকেট এক্সপার্ট দের পেয়েও গেছেন। মোট দশটি দেশের ফ্যান ফলোয়ারস থেকে বাংলাদেশ থেকে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ নেওয়ার আগ্রহ বেশী।

‘আরো অনেক দেশ থাকতে বাংলাদেশ থেকে কেন?’এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহর বলেন,

হাউ স্ট্রেইঞ্জ! আপনি কি কিছু জানেন না নাকি? আকাশ থেকে পড়লেন এই মাত্র! আরে মিয়া শুনেন বাংলাদেশিরা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ। তাদের ক্রিকেট জ্ঞানে তো আমি মুগ্ধ!

 

বাংলাদেশ-নিউজল্যান্ড ম্যাচে তাদের জন্যেই তো এতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই সম্ভব হলো। মুশফিক যখন স্ট্যাম্পিং টা মিস করলো। ওহ তখন কি স্ট্যাটাস?কতো উপদেশ।কিভাবে দাড়াতে হবে স্ট্যামের পেছনে।বল কিভাবে ধরতে হবে?।সবকিছু নিয়ে তুমুল ঝড় বয়ে গেল ফেইসবুকে।

কেউ কেউ তো পারলে স্ক্রিনের ভেতর ঢুকে পড়বে এমন ওবস্থা।ঢুকে নিজেই মুশফিকের বদলি হিসেবে বিনা ভাড়ায় কিচ্ছুক্ষণ উইকেট কিপিং করে আসবে।

আবার কেউ কেউ মুশফিককে বাদ দিয়েই নিজের লুঙ্গী কাছা দিয়ে মাঠে নেমে পড়তে চায়। কি দেশপ্রেম দেখেছেন? কতো ডেডিকেশন! ভাবা যায়!!

এই দেশের ফ্যানদের নিবো নাকি উগান্ডার ফ্যানদের আমি ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ বলবো। এতসব চিন্তা করেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে অন্যেরা কিছু মনে করলে কিছু করার নেই!

বিশ্বের ক্রিকেট কে আরো গতিশীল করতেই বাংলাদেশ বিশেষজ্ঞ দের নিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তোমার নামে মেঘের খামে চিঠি দিলাম আজ

You may also like...