ঢাকার কারওয়ান বাজারে ইলিশের দাম শুনে অজ্ঞান দুই ব্যাচেলার। উন্নত চিকিৎসার জন্যে নেওয়া হচ্ছে সিঙ্গাপুর!
রাত পোহালেই আরেকটি নতুন বাংলা বছর।পুড়নো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিতেই বাংলা ভাষাভাষীর মানুষের মধ্যে লেগেছে আনন্দের ধুম। বাংলা বারো মাসের প্রথম মাস বৈশাখ। বৈশাখের প্রথম দিন মানেই পহেলা বৈশাখ!
পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। বাঙালি হাজার বছর ধরে এই অনুষ্ঠান পালন করে আসছে। সম্রাট আকবর এই বাংলায় প্রথম বৈশাখের প্রচলন করলেও দিনে দিনে এর আচার অনুষ্ঠানের নানান পরিবর্তন ঘটেছে। যতোই সময় গড়িয়েছে ততোই যেন নতুন নতুন রূপ ধারন করেছে পহেলা বৈশাখ।
পহেলা বৈশাখের সকাল মানেই পান্তা-ইলিশ।আর এই ইলিশ নিয়ে হয়েছে যত গণ্ডগোল।আমরা মাছে-ভাতে বাঙালি শব্দটা এখন শুধুই কেবল পরীক্ষার খাতায়। পদ্মার বুকে আর নেই রূপালি ইলিশ। নদীও তার জৌলস হারিয়েছে অনেকদিন আগেই। তবুএ ইলিশের প্রতি প্রেম বাঙালির সারাজীবনের।বাঙালি ইলিশ নিয়ে করেছে অনেক হাইপোথিসিস ও!
বছরের এই একটা দিন ই বাঙালি শখ করে ইলিশ খায়। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে ইলিশের বাজারে চরম সংকট। মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্তরা ইলিশে হাত দেওয়া দূরে থাক মুখে নাম ই নিতে পারছে না। দাম শুনে বারবার মূর্ছা যাচ্ছে।এমন ই এক ঘটনা ঘটেছে ঢাকার কারওয়ান বাজারে।
ঢাকার কারওয়ান বাজারে কাল বিকেলে মেসের বাজার করতে আসে দুই যুবক। তারা কৌতূহল বসত মাছের আরতে ঢুকে পড়ে। মাছের আড়তে ঢুকেই দেখতে পায় তরতাজা ইলিশ। ইলিশের উপর কিছু মাছি ভনভন করছে। তারা পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে ইলিশ মাছটা কিনে ফেলার মনস্থির করে ফেলে।
মাছটায় ফরমালিন মুক্ত কিনা তা টিপেটুপে একাধিকবার পরীক্ষাও করে।এক পর্যায়ে শখের বসে একজন দাম জিজ্ঞেস করে বসে।
মাছবিক্রেতার দাম শুনেই জায়গায় ই তারা দুইজনেই ফিট হয়ে পড়ে যায়। সাথে সাথে অজ্ঞান। পানি ছিটালেও তাদের জ্ঞান না ফেরলেও একজন বুদ্ধি করে ইলিশের পানি ছিটায়া তাদের জ্ঞান ফিরায়া আনে। কিন্তু জ্ঞান কিচ্ছুক্ষণ জন্যে ফিরলেও আবার অজ্ঞান হয়ে যায় ওই দুই যুবক।পরে তাদের ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু রোগীর অবস্থা আশাঙ্কজনক। শঙ্কা এখনো পুরোপুরি কাটে নি।
ঢাকা মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ‘রোগীর অবস্থা এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না।ইলিশের দাম শুনেই তারা ভীষন বড় সর একটা ধাক্কা খেয়েছে।ধাক্কা সামাল দিত পারে নি তারা। যার প্রভাব পড়েছে হার্টেও। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্যে বাইরে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।’
এদিকে কত দাম জিজ্ঞেস করা হয়েছে মাছ বিক্রেতাকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান,
মামা ইলিশ ছুইয়্যা কসম কাটতেসি দাম এইটুও বেশী চাই না। পাঁচ হাজার ট্যাহার মাছ চাইসি মাত্র ৪০০০ ট্যাহা।হেরা(অজ্ঞাত দুই যুবক) অনেক মুলামুলি করে দাম কইসে তিনশো ট্যাহা।
আমি ৩১০০ টাকার নিচে বেচুম না শুনে হেরা ফিট হয়ে গেছে। আমার লগের দোকানদার নন্দলাল ছোড ছোড জাটকা ইলিশ বেচসে দোস হাজারে। মামা আমি কি দাম বেশী চাইসি এখন আফনেই কইন? বলে তিনিই ইলিশ হাতে কসম কাটতে শুরু করেন।
অবস্থা বেগতিক দেখে কোন মতে প্রাণ বেচে বেঙ্গলি সার্কাজম রিপোর্টার পালিয়ে আসেন কারওয়ান বাজার থেকে।