শুধু শ্রমিক নয় কামলা প্রেমিকরা ও মহান মে দিবসে নিজেদের ন্যায্য স্বীকৃতি চায়!

কার্টুনঃজুনায়েদ
‘প্রেমিক মানে একটা সময় ছিল আমলা,কালের আর্বতনে এখন তারা প্রেমিকার বাপের ভাড়া করা কামলা’
উপরের কথাটা ভীষন তেঁতো হলেও আইন্সটাইনের তত্ত্বের মতো তাহা ধ্রুব সত্য। শুধু শুধু বললেও খানিক কম বলা হবে,বলতে হবে অতি সত্য। রূপক অর্থে সূর্যের মতো মহা সত্য।
প্রেমিক শব্দটি বাংলা অভিধানের সবচাইতে মধুর এবং তিন অক্ষরের একটি শব্দ।এই শব্দে অতি দ্যোতনা কিংবা মাত্রারিক্ত রঞ্জকতা নেই।শব্দজুড়ে নেই কোন ছলচাতুরী,মিথ্যে কথার ফুলঝুরি।বরং ‘প্রেমিক’ শব্দটির ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে আছে শত কষ্ট,বঞ্চনা,অবহেলা,আর চাপা কান্নার ইতিহাস।
পেশি শ্রম আর বুদ্ধি শ্রম উভয়ের সমন্বয়ে গড়ে উঠা একেকজন প্রেমিকের অবদান মায়া,ভালোবাসাহীন এই পৃথিবীতে মহাসমুদ্রের মতো। নিজেদের উজাড় করে তারা ভালোবাসা বিকিয়েছে মন্দের হাটবাজারে।ইট কাঠ প্রাণহীন নগরে তারা ফুটিয়েছে ভালোবাসার ফুল।
রূপকথার বই থেকে ইতিহাসের মলাট কোথাও তাদের নাম নেই। তারা যেন স্রেফ নির্যাতিত। নির্যাতনের জন্যেই বোধহয় তাদের এই পৃথিবীতে জন্ম।যুগে যুগে অত্যাচারী শাসক তাদের উপর চালিয়েছে বেধড়ক অত্যাচার।
তাদের কথা কেউ শুনে না। তাদের ব্যাথা কেউ দেখে না। তারা কেঁদে যায় নিয়মের ঘড়িতে। চারদেয়ালের আবদ্ধ কুঠুরিতে তাদের কান্না চাপা পড়ে যায়। চোখের জল শুকিয়ে যায় কিন্তু মনের দাগ থেকে যায় মৃত্যু অবধি। প্রেমিককে সেই দাগ বয়ে বেড়াতে হয় অগোচরে,নিভৃতে।
মহান পৃথিবী বিনির্মানে শ্রমিকদের অবদান যেমন আছে।ভালোবাসার নগর গড়ে তুলতে প্রেমিকদের অবদান তেমন। কিন্তু যুগে যুগে তারা তুচ্ছার্থ রূপে ফুটে উঠেছে সমাজের কাছে।
দামী রেস্টুরেন্টের বিল,শপিং টাকা,মেইক-আপ, হ্যাঙ-আউট, ভ্যালেন্টাইন’স ডে,অমুক তমুক ডে। সবকিছু মিলিয়ে যেন বিষিয়ে তুলে প্রেমিকের জীবন। দিনরাত কামলার মতো প্রেমিকার জন্যে পরিশ্রম করেও এতটুকো যেন বিশ্রামের ফুসরত নেই। ফেইসবুকেও এসেও ২৪ ঘন্টা তাদের কামলা জীবন। ইনবক্সে একটু দেরীতে মেসেজ সিন করা হলে ঝারি,দেরি করে রিপ্লাই দিলে ঝারি।তুচ্ছ কারণে অকারণে সম্পর্ক ভেঙে গেলে এসবকিছু মূল্যহীন।

কামলা প্রেমিকদের দাবী
ছবি কৃতজ্ঞতা:জুনায়েদ& গুগল
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রেমিক জানা, শ্রমিকদের মতো আমরা ও প্রেমিকাদের জন্যে ২৪ ঘন্টা কামলা দেই।পৃথিবী শ্রমিকদের শ্রমের মূল্য দিলে আমাদের কেন মূল্য দিবে না।আমরাও ILO( International Lover’s Organisation) গড়ে তুলতে চাই।তিনি বলেন আমরা খুব দ্রুতই UNESCO এর কাছে এই দাবী তুলবো।