অনলাইন ক্লাসে ফাস্ট বেঞ্চ নেই বলে ডিপ্রেশনে ভুগছেন দেশের লাখো লাখো ফাস্ট বেঞ্চাররা!
অনলাইন ক্লাসে ফাস্ট বেঞ্চ নেই বলে ডিপ্রেশনে ভুগছেন দেশের লাখো লাখো ফাস্ট বেঞ্চাররা!
শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন যোগ করেছে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাস। ভার্সিটি বন্ধ।ভার্সিটিতে গিয়ে পড়ার বদলে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অনলাইন শ্রেণিকক্ষের পড়ায় অংশ নিচ্ছে বিশ্বের লাখো শিক্ষার্থী।
অনলাইনে ক্লাস করাচ্ছেন শিক্ষকেরা। যুগ যুগ ধরে চলে আসা ক্লাসে বসে পড়ার প্রাচীন ব্যবস্থায় এসেছে পরিবর্তন। বিশ্বের অনেক স্থানেই এখন স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা নতুন মাত্রা পেয়েছে ডেস্কটপ, ল্যাপটপ আর স্মার্টফোনের পর্দায়।
জাতিসংঘের বিজ্ঞান, সংস্কৃতি এবং শিক্ষা সংস্থা ইউনেসকো বলেছে, চলতি সপ্তাহ নাগাদ কোভিড-১৯–এর কারণে স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি থাকা সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী ৮৫ কোটি শিক্ষার্থী এখন শিক্ষা বা কর্মমুখী প্রশিক্ষণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তবে অনলাইন ক্লাস হওয়াতে সবচেয়ে বেশী বিপদে পড়ছেন দেশের লাখো লাখো ফাস্ট বেঞ্চাররা। এতোদিন ফাস্ট বেঞ্চে বসে বসে অভ্যাস হয়ে আসলেও এখন আর ফাস্ট বেঞ্চে বসতে পারছেন না। অনলাইনে ফাস্ট বেঞ্চের ব্যাবস্থা না থাকায় ভয়াবহ ফ্রাস্টেশনে ভুগছেন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থী সো কলড ফাস্ট বেঞ্চাররা।
ফাস্ট বেঞ্চ কেন নেই এ নিয়ে অনেকে আক্ষেপ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস লিখেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে। একজন লিখেন ‘ভার্সিটির ক্লাস ১০ টায় থাকলে ঘুম থেকে উঠে কোন মতে দাত ব্রাশ করে ছুটতাম ক্লাসের দিকে।যে করেই হোক ফাস্ট বেঞ্চে বসতে হবে। কোন কোন সময় তো ফাস্ট বেঞ্চে বসার জন্যে বন্ধুদের সাথে মারামারি লেগে যেত।তবুও ফাস্ট বেঞ্চিতে আমাকে বসতেই হবে। আর এখন কোথায় সে সব দিক। ফিলিং নস্টালজিক। বলে কয়েকটা স্যাড ইমু দিয়ে ভাসিয়ে দেন টাইমলাইন।
এদিকে শীঘ্রই অনলাইন ক্লাসে ফাস্ট বেঞ্চ বসার সুযোগ চান দেশের ফাস্ট বেঞ্চাররা। তারা ফাস্ট বেঞ্চ বসার জন্যে একটি অনুলিপি নিয়ে রাস্তায় জনসমাগম করেন দেশের ফাস্ট বেঞ্চার সমাজ
তাদের দাবী মানা না হলে তারা রাজপথে নেমে তীব্র আন্দোলন করার ঘোষনা দেন
তারা বলেন ‘আমাদের দাবী একটাই অনলাইনে ফাস্ট বেঞ্চ চাই’ বলে শ্লোগান দিতে থাকেন।