মাহফুজুর রহমানের গান শুনে শব্দ দূষনের সবচাইতে বেশী ঝুঁকিতে পড়ছে নারীওশিশুরা

মাহফুজুর রহমানের গান শুনে দেশ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ফিরে যাচ্ছে অতিথি পাখি।

তার কারন হিসেবে পরিবেশবিদেরা দায়ি করেছেন মাত্রাতিরিক্ত শব্দ দূষনকে।তাছাড়া নারী ও শিশুরা পড়েছে ভয়ঙ্কর শব্দ দূষনের ঘ্যাড়াকলে!

পরিবেশবিদরা দাবী করেছেন মাহফুজুর রহমানের গানেই শব্দ দূষন ঘটেছে।যা পরিবেশের জন্যে একপ্রকার হুমকি!তাদের মতো মাহফুজুর রহমান উচ্চস্বর সঙ্গীত চর্চা করে শব্দোত্তর তরঙ্গ সৃষ্টি করেন। যা সাধারন মানুষ ও পাখির জন্যে ক্ষতিকর।

একজন মানুষের শব্দ গ্রহনের মাত্রা ২০-২০০০০ হার্জ।
যার থেকে শব্দের মাত্রা বেশী হলে শ্রুতিকটুর বা মানবদেহের জন্যে ক্ষতিকারক হিসেবে দায়ী করছেন।

আরেকটু সোজা করে বললে একজন মানুষের শব্দের মাত্রা ৪৫ ডেসিবল। তার থেকে অধিক হলে শব্দ দূষন হয়।

ডব্লিউবিব ট্রাস্টের এক গবেষণা প্রতিবেদনে শব্দদূষণের উৎস হিসেবে গাড়ির হর্ণ, ইটভাঙার মেশিন, জেনারেটর, মাইকিংকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শব্দ দূষণ হলো মানুষের তৈরি সমস্যা। মানুষের দৈনন্দিন কিছু কার্যকলাপের কারণে শব্দদূষণ হচ্ছে। শব্দদূষণের অন্যতম প্রধান কারণ গাড়ির হর্ন, ইটভাঙার মেশিনের শব্দ, নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির শব্দ, জেনারেটরের শব্দ, কলকারখানার শব্দ, মিউজিক বা মাইকের শব্দ, ট্রেনের হুইসেলের শব্দ, বিমান ওড়ার শব্দ ইত্যাদি।

কিন্তু ইদানীং এসবের চেয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মাহফুজুর রহমানের গান।

আর ৭০-৮০ ডেসিবল হলে মারাত্নক শব্দ দূষন। যা মানবদেহের জন্যে ভয়ানক বিপদ ঢেকে আনতে পারে। বধির হয়ে যেতে পারেন কেউ কেউ।

যেখানে মাহফুজুর রহমানের একাই গান গেয়ে উৎপন্ন করেছেন ৩৬০ ডেসিবল।যা তিনটি জেট বিমানের সমান!

আর এই শব্দ দূষনের সবচাইতে বেশী ঝুঁকিতে আছে নারী ও শিশুরা।অতি দ্রুতই শব্দ দূষনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তাদের উপর।

তাই জনসাধারনের কথা বিবেচনা করে হলেও তার সঙ্গীত চর্চা আপাতোত কিছুদিন বন্ধ রাখা উচিত বলে দাবী এসব বিশ্লেষকদের।

You may also like...