মাংসে লবন কম হয়েছে এই কথা বলার পর মেয়ের জামাইকে পিটালেন শ্বাশুড়ি
বাংলা সাহিত্যে জামাই ষষ্ঠীর তেমন রমরমা দেখা না গেলেও, অস্বীকার করার উপায় নেই, বাঙালির সংস্কৃতিতে জামাই ষষ্ঠী একটা রীতিমতো জম্পেশ ব্যাপার। মনে রাখতে হবে, সেলুলয়েডে বাঙালির বোল ফুটেছিল জামাই ষষ্ঠীরই কল্যাণে। ১৯৩১ সালে তোলা হয় বাংলার প্রথম সবাক কাহিনিচিত্র ‘জামাই ষষ্ঠী’। পরিচালক ছিলেন অমর চৌধুরী। সেই ছবি দেখার সৌভাগ্য না হলেও অনুমান করা যায়, সে ছবি ছিল নির্ভেজাল কমেডি। সেকালের ছায়াছবির দস্তুর মোতাবেক তা স্ল্যাপস্টিক কমেডিও হতে পারে। কিন্তু ভাবার ব্যাপার একটাই, কেন অমরবাবু তাঁর প্রথম সবাক ছবির বিষয় হিসেবে জামাই ষষ্ঠীকে বেছে নিলেন?
একমাত্র মেয়ের বিয়ের পর মেয়েকে অন্যের বাড়ি না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দিলেন বাবা। তাই বিয়ের পর জামাইয়ের ঠিকানা হলো শ্বশুরবাড়িতে।
বাংলাদেশে এই জামাইকে বলা হয় ঘর জামাই ।
ঘর জামাই হয়ে যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়ে গেল এই জামাই । এটা খাবে ওটা খাবে করে সারাক্ষন মাথা পাগল করে রাখতো এই জামাই ।আর এতেই অস্থির করে রাখতো শ্বশুড়বাড়ির লোকদের।
খাবার নিয়ে সারাক্ষন ঘ্যান ঘ্যান করতো জামাই।সব খাবারে ভুল ধরাতেই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য ।
দুপুরে খাবারে বসেই মুখে খাবার তুলে বলে ফেললেন, তরকারিতে লবন কম হয়েছে
আর এই কথা বলার পর যেন তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন শ্বাশুড়ি
মাংসে লবন কম হয়েছে এই কথা বলার পর জামাইকে চামচ দিয়ে পিটালেন শ্বাশুড়ি