বার্সার হারে আনন্দে মিষ্টিমুখ ফকিরাপুলের জনৈক যুবকের।পরে মনে পড়েছে তিনি রোযা!

চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে দ্বিতীয় লেগের খেলায় বার্সেলোনাকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। জোড়া গোল করেছেন ওরিগি ও উইনালডাম। এ জয়ে ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠল লিভারপুল।
-প্রথম আলো

লিভারপুলের এই জয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক জুড়ে উছ্বাস প্রকাশ করছে।ট্রু লিভারপুল ফ্যানদের পাশাপাশি রিয়েল জুভেন্টাস সর্মর্থিত ঐক্যজোট ফ্যানদের মাঝে দেখা গেছে বাধাভাঙা আনন্দ। বার্সা ফ্যনরা সুযোগ বুঝে লুকিয়ে পড়েছে। অনেকে আবার ফেইসবুক আইডি ডিক্টিভ করে কোন মতে প্রানে লুকিয়ে আছেন বাসায়। বন্ধু বান্ধবের ফোনও ধরছেন না কেউ। এক হালি গোল খাওয়ার পর অনেকে আবার দিশেহারা।

তবে সবথেকে বেশি আনন্দিত হয়েছে সিজোনাল ফ্যানেরা। তারা ফেইসবুক পোস্ট, ট্রোল পেইজ, ফুটবল গ্রুপে মেসিবিরোধী নানারকম পোস্ট দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছে।

লিভারপুলের জয়ে আরেক এলাহি কান্ড ঘটিয়ে ফেলেছে ফকিরাপুলের জনৈক যুবক। যিনি নিজেকে লিভারপুলের প্লাস্টিক ফ্যান নয়। বরং ট্রু এবং ড্রাই হার্ড ফ্যান মনে করেন।

লিভারপুলের জয়ে খুশিতে ফ্রিজ থেকে গপগপ মিষ্টি খেয়ে ফেলেছেন।খাওয়ার কিছুক্ষন বাদেই তার মনে পড়েছে তিনি রোযা। সাথে সাথে আস্তাগফিরুল্লাহ বলে মুখের মিষ্টি বের করে ফেলেন।পানি দিয়ে কুল কুচুকুচ করে তওবা কেটে ফেলেন।

এই নিয়ে জনৈক যুবকের সাথে কথা বললে তিনি লজ্জিত ভঙ্গিতে জানান,আমি থাকি ফকিরাপুল। আর আমার কমিটির ক্লাব লিভারপুল।তাই লিভারপুলের জয়ে নিজেকে সামলাতে পারি নি খুশিতে মিষ্টি খেয়ে ফেলেছি।পরে মনে পড়েছে হায় আল্লাহ! আমি তো রোযা! মুখের সব ফেলে দিয়েছি।

মিসটেক হয়ে গেছে ব্রাদার। অতি আনন্দে মাথা ঠিক ছিল না।আল্লাহ্‌ পাক এইসব মিসটেক ক্ষমা করবেন ইনশাআল্লাহ। ফাইনালে আমার ক্লাবের জন্যে আপনাদের কাছে দোয়া চাই ব্রাদার।”

তিনি আরো জানান, লিভারপুল চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতলে সারা এলাকা গরু জবাই করে খাওয়াবেন। ফকিরাপুলের ইজ্জত বলে কথা।

এদিকে তার সাথে একমত চাংনখার পুল,হাতিরপুল এলাকাবাসী ও। তারা ও লিভারপুলের জয়ে দারুন খুশী।

You may also like...