পাবলিক বাসের জানালার পাশের সিট মেয়েদের ৬ষ্ঠ মৌলিক অধিকার জাতিসংঘে পাশ হচ্ছে আইন

প্রায় প্রত্যেকের মনেই একটা চিন্তা থাকে এ সময়। ছল করে হোক আর বল দিয়ে হোক, বাসে তাঁকে উঠতেই হবে। এ জন্য ঠিক কতজনের ঠ্যালা-গুঁতা খেতে হবে কিংবা নিজেকেও কী পরিমাণ বাহুবল প্রয়োগ করতে হবে, সেই অঙ্কও কষেন সবাই। এ সময় কাউকে স্থির অবস্থায় দেখতে পাওয়া পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য হিসেবে বিবেচনাযোগ্য। বাসের জন্য অপেক্ষমাণ প্রত্যেককেই দেখা যায় সাধ্য অনুযায়ী ডানে-বাঁয়ে, সামনে-পেছনে, উত্তরে-দক্ষিণে পায়চারিরত।

নিয়মিত বিরতিতে হাতঘড়ি কিংবা মোবাইল ফোনের ঘড়ি দেখে চোখে-মুখে যাবতীয় বিরক্তির অভিব্যক্তি এনে ‘ধুরো’, ‘ধ্যাত্তেরি’, ‘আজকে সব বাস কই গেল’-জাতীয় শব্দ উচ্চারণ অতি সাধারণ ঘটনা! বাস এলে তাঁকে যে কোলে করে উঠিয়ে নেবে না, এটা সবারই জানা। চলন্ত বাসের সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা পথ পড়িমরি করে ছুটে তারপরই ওঠার চেষ্টা করতে হবে। ফলে দৌড়ের আগাম প্রস্তুতিও নিয়ে থাকেন সবাই! প্রত্যেকেই ভাবেন যে তাঁর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ আর কারও থাকতেই পারে না! এ জন্য সবার আগে তাঁকে উঠতেই হবে। অন্যদের অত তাড়া কিসের! তাঁদের একটু পরে গেলেও চলবে!

প্রত্যেকের ধারনা, এই মুহূর্তে জগতের সবচেয়ে ভাগ্যবান ব্যক্তি তাঁর পাশে বসা লোকটি। কারণ, জানালার পাশে একটি সিট পেয়েছেন তিনি! স্বপ্ন দেখেন, কিছুক্ষণ পরই তাঁর পাশের যাত্রী নেমে যাবেন আর তিনি আরাম করে জানালার পাশে বসবেন! জানালা দিয়ে ফুরফুর করে বাতাস আসবে, সেই বাতাসে চুল উড়িয়ে, গা জুড়িয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে তিনি যথেষ্ট উদাস হবেন!

 

পৃথিবীর প্রত্যেক মেয়েই চায় জানালার পাশে বসতে। তারা মনে করেন এটা যেন তাদের একান্ত মৌলিক অধিকার।তারা এই অধিকার প্রাপ্য ।কিন্তু এতদিন তা মুখে থাকলেও তা এবার দেখা মিলছে কাগজে কলমে। বাসের জানালার পাশের সিট মেয়েদের ৬ষ্ঠ মৌলিক অধিকার জাতিসংঘে পাশ হচ্ছে এমন আইন। নারীদের একটু সুবিধা দেও্যার জন্যে এই আইন পাশ হচ্ছে বলে জানান তারা। তবে তা কতটুকু কার্যকর হবে তা নিয়ে দেখা যাচ্ছে যথেষ্ট শঙ্কা।

 

শুনুনঃ বেঙ্গলি সারকাজমে প্রকাশিত কোন সংবাদ বিশ্বাস তো দূরে থাক অবিশ্বাস করার ও কোন প্রশ্নেই ঊঠে না!!

 

You may also like...