বাসা থেকে বিয়ের জন্যে চাপ দিয়েছে তাই ই-ভ্যালি থেকে BCS ক্যাডার পাত্র অর্ডার করলেন জান্নাত




মেয়ে একটু উপযুক্ত হলেই বাঙলার প্রতিটি ঘরে বেজে উঠে এক মহান প্রশ্ন।বাঙলার  প্রত্যেকটি মেয়ে প্রশ্ন শুনতেই হয় কালজয়ী প্রশ্ন যা যা যুগ ধরে শোনে আসছে প্রতিটি কন্যা,প্রত্যেকটি মা,প্রতিটি নারী। চমকজাগানিয়া এই প্রশ্নখানা হচ্ছে   বিয়ে কবে করছো?  বাঙলার এমন কোন তরুনী রুপসী তনয়া,জ্ঞানী গুনী নেই যেন এই প্রশ্ন তাকে শোনতে হয় নি। পরীক্ষার খাতায় নিজের নাম লিখার চেয়ে এই প্রশ্নখানা তাকে বহুবার বহুখানে বহুপরিবেশে উত্তর দিতে হয়েছে।

বাবা-মায়েদের সমানতালে এই প্রশ্ন করে ভাইবা বোর্ডের রগচাটা স্যারদের দাত কেলিয়ে হেসেছেন কত আত্নীয়,পাড়া প্রতিবেশী।

আর বাবা-মায়েরাই বা করবে?  প্রতিটি বাবা-মা চায় তার সন্তানকে ভালো একটি জায়গায় বিয়ে দিতে।কন্যাকে বিয়ে দিতে পারলে নিজের দায় সারা হন পিতা মাতা।আজকাল যুগের সন্তানরা যেন আরো এক কাঠি সারস তারা বিয়ে করতে চায় না। প্রতিষ্ঠিত না হয়ে আবার কিসের বিয়ে? বিয়ের কথা বলতে আসলেই মেয়েরা তাদের বাবা-মায়ের মুখের উপর বলে দেয় এই কথা ।অনেকে সাহস করে এসব কথা বলতে না পারলে তারা ইনিয়ে বিনিয়ে নানান কথা বলে ।

এসব মেয়েরা চুল পেকে গেলেও তারা বলে, আরে আম্মু আমার কি বিয়ের বয়স হইসে নাকি? ধুর আব্বু তুমি সেদিন না আমারে ইস্কুলে নিয়া গেলা? আর বলো আমার বা কতই বয়স? খালি বিয়ে বিয়ে।বাবা মা তাদের কথায় রাজি না হলে তারা বিএনপির মতো সামনের ঈদের পরের তীব্র আন্দোলন টাইপ কথাবার্তা শোনায় ।এসব শোনায়া আশস্ত করে বাবা মাকে ।তবুও যেন বিয়ে তাদের পিছু ছাড়ে না।জলে,জঙ্গলে,বাশবনে,কাশবনে,ডাঙায়,সড়কে কিংবা নরকে যেখানেই যায় বিয়ে তাদের পিছু আকড়ে ধরবেই।



এমনই এক ভয়াবহ বিপদে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া জান্নাত।বিশব্বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় করোনা পরিস্থির কারনে বাসায় চলে আসে জান্নাত।কিন্তু বাসায় আসার পর থেকে সকাল বিকাল তিনবেলা তাকে শুনতে হয় একটি প্রশ্ন? বিয়ে কবে করবি??

বাবাকে চুপ দিয়ে ধমক দিতে পারলে মাকে থামাতে পারে না জান্নাত। বেশী কথা বলবে জান্নাত কানে তুলো গুজে রাখে তবুও যেন লাভের লাভ কিছু হয়না। শেষমেশ এক অভাবনীয় জিনিস আবিষ্কার করে ফেলে জান্নাত। সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে গিয়ে জানতে পারে একটি ই-কমার্স সাইটের কথা যারা আজকে প্রোডাক্ট করলে ডেলিভারি দেয় তিন-চার বছর পর।এমন কি কেউ কেউ জান্নাতকে এটি বলেছেন যে, একবার অর্ডার করলে কয়েশবছরের মধ্যে পাওয়ার চান্স নেই। এটা শোনে তো জান্নাত খুশীতে আত্নহারা।

 

সবশেষে ভেবে চিনতে নিজের জন্যে এই ই-কমার্স সাইট ই-ভ্যালি থেকে শতভাগ ক্যাশবেকে বিসিএস ক্যাডার পাত্র অর্ডার করে ফেলেন। ইভ্যালি হেল্প সেন্টারে তার সত্যতা যাচাই করেন নেন । তারা জানায় জান্নাতের পাত্র সবে ক্লাস টুয়ে উঠেছে বিসিএস পাশ করলেই জান্নাতের কাছে চলে আসবে ।জান্নাত যেন অপেক্ষা করে।

জান্নাত বেঙ্গলি সার্কাজমকে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ ফর ঈভিরিথিং এবং থ্যাংক   ইয়ু রাসেল ভাইয়া।আপনি না থাকলে আমার স্বপ্ন কখনোই পূরন হতো না।দোয়া করি আপনার জন্যে এভাবেই যেন মধ্যবিত্তদের সব স্বপন পূরন করে যেতে পারেন ।

জান্নাত বলেছেন পাত্র পাবার পর ৫ স্টার রিভিউ দেবেন ইভ্যালির ফেইসবুক পেইজ এবং গ্রপে।


You may also like...