ErrorException Message: Argument 2 passed to WP_Translation_Controller::load_file() must be of the type string, null given, called in /home/bengalis/public_html/wp-includes/l10n.php on line 838
https://www.bengalisarcasm.com/wp-content/plugins/dmca-badge/libraries/sidecar/classes/ শশুরবাড়িতে বাঙ্গি খেতে দেওয়ায় স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দিলেন স্বামী!

শশুরবাড়িতে বাঙ্গি খেতে দেওয়ায় স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দিলেন স্বামী!



‘শশুরবাড়ি মধুর হাড়ি’ কথাটা আধুনা জামাইদের জন্যে অনেকটা খাতা কলমে সীমাবদ্ধ তেমনটাই মনে করেন আজকাল কার ছেলেরা। শশুড়বাড়ি মানে থাকবে বেশ উত্তেজনাকর একটা ব্যপার।কবে যাবো টাইপ একটা চাপা উল্লাস কাজ করবে বুকে। কিন্তু এখন শশুরবাড়ির নাম শুনলে বুক ধুপধাপ করে প্রায়ই ছেলেরেই!অনেকের তো আবার জ্বর আসে। বিছানায় কাথা নিয়ে ভং ধরে শুয়ে থাকে।

এসব ছেলেদের শশুরবাড়ি মানেই খরচ! সেই তুলনায় জামাইআদর কিছুই না। তারা প্রচন্ড হতাশ এই শশুড়বাড়ি টপিক নিয়ে। স্ত্রী রাত দিন কানের কাছে ঘ্যানঘ্যান প্যান করলেও তাদের মন গলে না। কি জন্যে যাবো? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে স্ত্রীকে ঘায়েল করে রাখে।

তবুও কেউ কেউ যায়।বুকের ভেতর অনেকখানি আশা জমাট বেধেই যায়। জিহবায় ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট এর মতো জমতে থাকে লালা। খাবো খাবো অবস্থা। ‘জামাই আদর’ ক্যারিশমায় মুগ্ধ হতে বউ বাচ্চা নিয়ে অনেকেই ছুটে যায় শশুড়বাড়ি নামক দিল্লিকা লাড্ডুর উদ্দ্যেশ্যে।

কিন্তু সব আশা তো পূরন হবার নয়। তেমন ই কপাল নিয়ে জন্মেছিলেন জনৈক জামাই।জামাই আদরের প্রত্যাশায় তিনি ছুটে গিয়েছিলেন শশুড়বাড়িতে কিন্তু হায়! জামাই আদর তো মেলেনি উলটো মিলেছে বঞ্চনা,কষ্ট,যন্ত্রনা। হতাশ হয়ে রাগের মাথায় স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দিলেন তিনি।পরে জানা যায়, বাঙ্গি এর পেছনের মূল কারিগর।



ডিভোর্স বিষয়ে উকিল তাকে জেরা করলে,তিনি বলেন,’ উকিল সাহেব ডিভোর্স দিবো না তো কি করবো? শশুড়বাড়িতে এলাম ভালো মন্দ কিছু খাবো বলে। আর তারা আমাকে তিনবেলা বাঙ্গি খেতে দিচ্ছে না। মাছ মাংস কিছুই নেই।

আমাকে প্রথম দিন বাঙ্গি খেতে দিয়ে আমার শাশুড়ি বললো, বাবা তুমি কি বাঙ্গি খাও? আমি ভদ্রতার খাতিরে জানলাম, হ্যা মা,বাঙ্গি আমার খুব পছন্দ।খেতে খুব ভালো লাগে

এটা বলার পর শাশুড়ি তিনবেলাই বাঙ্গি খাওয়াচ্ছে। আমি ভদ্রতার জন্যে কিছু বলতেও পারছি না। আপনি বলেন এই ফল মানুষ খায়? আমার জীবন এখন বাঙ্গিময় হয়ে গেছে? বলতে বলতে তিনি প্রায় আবেগে কেঁদে ফেলেন।

এজলাসে তখন একটি আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। উকিল কান্না চেপে কোনমতে বিচারকার্য শেষ করেন।



You may also like...