বান্ধবীদের কাছ থেকে ধার করে নুডস নিয়ে পড়ালেখা করে জিপিএ ৫ পেল আরাফাত

বান্ধবীদের কাছ থেকে ধার করে নুডস নিয়ে পড়ালেখা করে জিপিএ ৫ পেল আরাফাত

মানুষের সাফল্যের গল্প কখনো ছাড়িয়ে যায় সিনেমাকে। তবে ময়মনসিংহ এর আরাফাত এর গল্পটা আরো এক ধাপ এগিয়ে। তার সাফল্য ছাড়িয়ে গেছে রূপকথার গল্পকেও। গতবছর বিড়ির আলোতে পড়ালেখা করে জিপিএ ফাইভ পাওয়া এক শিক্ষার্থীর কথা জানা যায়। সেই কীর্তিকে পেছনে ফেলে ময়মনসিংহ এর আরাফাত জিপিএ ফাইভ পেয়েছে বান্ধবীদের নুড়স নিয়ে

 

নিজের কম্পিউটারে নিজের রেজাল্ট দেখার পর ডুকরে কেঁদে উঠেন আরাফাত। না, এই কান্না খুশির না! এই কান্না বিস্ময়ের! কাঁদতে কাঁদতেই আরাফাত আমাদের বলেন, ‘মানে ভাই ক্যামনে!! এই রেজাল্ট হাতে পাওয়ার এমন শক খাইছি সারা শরীর জ্বলতেছে। সারাবছর গফ নুডস নিয়া পইড়া থাইকা এই রেজাল্ট ক্যামনে সম্ভব।’

‘এভাবে না, কিছু দৃঢ়তা, দৃষ্টান্ত, স্ট্রাগল, চেষ্টা যোগ করে বলুন’ আমাদের প্রতিনিধির এমন নির্দেশনায় আরাফাত বলেন, ‘আমি আসলে একটা দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাইছিলাম। ল্যাম্পপোস্ট, কুপিবাতি এইসব সো মেইনস্ট্রিম। তার তুলনায় বান্ধবীদের মেসেঞ্জারে নুডস নিয়ে আস্ত একটা চমক, দেখতেও সুন্দর। কত রাত গেছে নিজের কাছে মাঝে মাঝে নুডস কেনার পয়সাও থাকতো না। বন্ধু বান্ধবদের দেয়া নুডস এনে দেখেছি সেই নুডস রাত জেগে পড়াশোনা করে আজকে এই ফলাফল।

নিজের সংকল্পবদ্ধ পথচলা নিয়ে মনির বলেন, ‘ঘরের মধ্যে নুডস ছিলো আমার সবচেয়ে আপন। রুমে আসার সাথে সাথে আমার প্রথম স্পর্শ হতো ওর সাথে। এমনকি প্রতিদিন ঘুম ভাঙ্গার পর চোখ না খুলেই আমি এই নুডস চেয়েছি। টানা ২ বছর আমি এই নিয়ম মেনে চলেছি। না, আমি অন্যদের মতো বাপ-মায়ের সাপোর্ট পাইনি। আমার এই ট্রাম্প কার্ড নুডস এর জন্য বাবা-মা প্রতিদিনই কথা শুনিয়েছেন। এই নুডস দেখা খাওয়া ছাড়াতে আমাকে পিটিয়ে বাসা থেকে বেড় করে দিতে চেয়েছে অনেকবার। বাট আমি তাকে বুক দিয়ে আগলে রেখেছি।’

নুডস দেখে পড়া এই মনির বড় হয়ে জগতের মহীরূহ হওয়ার আশা ব্যাক্ত করে আমাদের বলেন, ‘আমি বড় হয়ে ব্রাজার্সে অভিনয় করে মানুষের মতো মানুষ হতে চাই ।

নুডস দেয়া বান্ধবীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এই আরাফাত।

You may also like...