বিদেশী বোলারদের পিটিয়ে শায়েস্তা করতে এবার মোসাদ্দেক হোসেন নিয়ে এলো “পিটাও”!



ছবি:প্রথম আলো



ট্রাই-নেশন সিরিজে জয় পেল টাইগাররা। এ যেন পরম স্বস্তির এক জয়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ফাইনাল জিতল বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের এ কাব্যিক জয়ের মূল কারিগর সৌম্য সরকার আর মোসাদ্দেক হোসেন।

ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ফিরিয়ে দেন তামিম এবং সাব্বিরকে। দলীয় ৫৯ রানের মাথায় ১৩ বলে ১৮ রান করে বিদায় নেন তামিম, সাব্বির কোনো রান করার আগেই সাজঘরে ফেরেন। ১০.৩ ওভারে বাংলাদেশ দলীয় শতক তুলে নেয়। যা টাইগারদের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্রুততম দলীয় শতক।

২৭ বলে ফিফটি করেন সৌম্য সরকার। বাংলাদেশের চতুর্থ দ্রুততম ফিফটি এটি। টানা তিন ম্যাচেই ফিফটির দেখা পেলেন দেশের মাটিতে সবশেষ ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করা সৌম্য। ইনিংসের ১২তম ওভারে বিদায় নেন সৌম্য। তার আগে মুশফিকের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন। বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রান। তার ৪১ বলে সাজানো ঝড়ো ইনিংসে ছিল ৯টি চার আর তিনটি ছক্কার মার।

১৪তম ওভারের শেষ বলে এলবির ফাঁদে পড়েন মুশফিকুর রহিম। রেইফারের বলে আউট হওয়ার আগে ২২ বলে দুই চার, দুই ছক্কায় মুশফিক করেন ৩৬ রান। দলীয় ১৩৬ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

ডার্ক লুইস মেথডে বাংলাদেশের দরকার ছিল ২১০ রান। এই অসম্ভব নে সম্ভব করলো বাংলাদেশ। জয়টা আরো সহজ করে দিলো বাংলাদেশের মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মাত্র ২০ বলে ৫০ রান করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাইকে।

বিধ্বংসী ব্যাটিং তার রান ৫২ মাত্র ২৪ বলে। পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন আর সাহায্য নিয়েছেন মাত্র দুইটি চারের।

বিদেশী বোলারদের পিটিয়ে শায়েস্তা করতে দেশের প্রথম মোসাদ্দেক হোসেন চালু করলো সার্ভিস পিটাও। পিটাইয়া তুলোধোনা করতে এই সার্ভিসের কোন জুড়ি নেই।



You may also like...