ErrorException Message: Argument 2 passed to WP_Translation_Controller::load_file() must be of the type string, null given, called in /home/bengalis/public_html/wp-includes/l10n.php on line 838
https://www.bengalisarcasm.com/wp-content/plugins/dmca-badge/libraries/sidecar/classes/ ২৫ বছরের মধ্যে বিয়ে না করলে মরিচের গুঁড়ার শাস্তি!

২৫ বছরের মধ্যে বিয়ে না করলে মরিচের গুঁড়ার শাস্তি!



ছবি: NY Times



ডেনমার্কে ২৫ বছরেও অবিবাহিত কিম্বা কোনরূপ প্রেমের সম্পর্কে জড়ান নি, এমন যুবক-যুবতীদের তাদের ২৫তম জন্মদিনে পড়তে হয় যারপরনাই অস্বস্তিতে। কারণ ২৫তম জন্মদিনে তাদের সারা গায়ে ছিটিয়ে দেয়া হয় দারচিনির গুঁড়া। কেউ কেউ আবার পানিও ছিটিয়ে দেন যেন দারচিনির গুঁড়া গায়ে একদম মেখে যায়।

ভাবছেন, এটা করতে যার জন্মদিন তার নিশ্চয়ই অনুমতি নিয়ে নেয়া হয়। মজার ব্যাপার, এটা করবার সময় কেউ কোনরকম অনুমতির তোয়াক্কাই করেন না। এই প্রথার উদ্দেশ্যই হল, ২৫শে পা রাখা যুবক-যুবতিটাকে মনে করিয়ে দেওয়া- অনেক হল হেলাফেলা, এই দফা তোমার বয়স হয়েছে বিয়ে থা করো একটা!

বলা হয়, এমন প্রথার শুরুটা হয়েছিল শত বছর আগে। মশলা বিক্রির জন্য যে সমস্ত সেলসম্যানরা ঘুরে বেড়াতেন চারপাশে, তাদের পক্ষে ঘর-সংসার পাতা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠত। কোনও এক জায়গায় স্থায়ীভাবে যে থাকা হয়ে উঠত না। এমন অবিবাহিত সেলসম্যানদের বলা হত ‘পেপার ডুডস’ আর এমন অবিবাহিতাদের ডাকা হত ‘পেপার মেইডেন’ নামে।



ডেনমার্কের তরুণ প্রজন্ম যেন এই ‘পেপার ডুডস’ বা ‘পেপার মেইডেন’দের পথে হাঁটা না ধরেন, তাই এই প্রথা মানা হয়। যে সব যুবকদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, অথচ সংসারহীন, তাদের গায়ে দারুচিনির গুঁড়া ছিটানো হয়। তবে বয়স যদি তিরিশের কোঠা পেরিয়ে যায়, তাহলে তাদের জীবন হয়ে ওঠে আরও দুর্বিষহ। তখন দারচিনিতে আর কাজ হবে না! লাগবে মরিচের গুঁড়া। ঠিক তাই, তখন মরিচের গুঁড়া ছিটানো হবে তাদের শরীরে।

শুধু মরিচের গুঁড়াই না, তার সাথে ডিমও ছুড়ে মারা হয়। যাতে ডিমের সাথে মাখামাখি হয়ে সারা শরীরে মরিচের গুঁড়া মেখে থাকে।

এমনটা করার মধ্যে দিয়ে তাদের ২৫ বছর বয়সের আগেই ঘর বাঁধার বিষয়ে পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করা হয়। তাই বলে ডেনমার্কের সবাই পঁচিশেই বিয়ে করে ফেলেন এমনটা ভাবার কোন নেই। বরং এর উল্টাটাই ঘটে থাকে। ডেনমার্কে পুরুষদের বিয়ের বয়স গড়ে সাড়ে ৩৪ আর নারীদের গড়ে ৩২ বছর।

তাই সে দেশের তিরিশের নীচে থাকা অবিবাহিতদের জীবনে স্বস্তি নেই। তবে এটাকে শাস্তি হিসেবে ভাবা যাবেনা। বরং অবিবাহিতদের সঙ্গে একটু ঠাট্টা-মশকরা করাটাই হলো এই প্রচলিত প্রথার আসল উদ্দেশ্য। আর সেই সাথে যেন বুঝিয়ে দেয়া- অনেক হল, এ বার একটু ঘর বেধে স্থির হও!



Bengali Sarcasm Desk

এই ডেস্কে কখন কে বসে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই!

You may also like...