মেস ভাড়া মওকুফ না করায় মেসের মালিকের মেয়েকে পালিয়ে বিয়ে করে ফেলল যুবক!
মেস ভাড়া মওকুফ না করায় মেসের মালিকের মেয়েকে পালিয়ে বিয়ে করে ফেলল যুবক!
গত ১৭ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ আছে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দেশে চলমান করোনা সংকটে অনেকের আর্থিক সমস্যার কথা জানিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত মেসে ভাড়া থাকা শিক্ষার্থীরা ভাড়া মওকুফের দাবী জানিয়ে আসছে।
এ নিয়ে গত ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের মেসভাড়ার বিষয়টির সুরাহাকল্পে ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। তবে কমিটি গঠনের ৭ দিন অতিবাহিত হলেও কমিটির পক্ষ হতে এখনো কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
পড়াশোনার জন্যে দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে বসবাস করতে ভাড়া বাসা বাড়ি এবং মেসে। আবাসন সংকট থাকায় অনেকের জায়গা হয় না হলগুলোতে ফলে বাধ্য হয়ে বসবাস করতে হয় এসব স্থানে।
এদিকে করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী মেস বা ভাড়া বাসা ছেড়ে চলে এসেছে নিজের বাড়িতে। না থেকেও মাসে মাসে ভাড়া দিতে হচ্ছে। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে এসব শিক্ষার্থীর উপর।
এমন ই এক শিক্ষার্থী নোয়াখালীর পলাশ। রাজধানীর বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ অধ্যয়নরত এই শিক্ষার্থী ১৯ ই মার্চ ঢাকা ছেড়ে নিজের এলাকায় চলে আসে। কিন্তু চলে আসলে প্রতি মাসে মেসের সিট ভাড়া দিতে হয় তাকে। মেসের মালিক জয়নাল তাকে ভাড়ার জন্যে চাপ দিতে থাকে। গত দুই মাসের সিট ভাড়া দিতে পারলেও এই মাসে পলাশ সাফ জানিয়ে দেয় তার হাতে আর টাকা নেই।পলাশ আকুতি মিনতি করে জয়নাল যেন তাদের সিটভাড়া মাফ করে দেয়
সে আর মেসের সিট ভাড়া দিতে পারবে না। কিন্তু মেসের মালিক জয়নাল কোনভাবেই সিট ভাড়া মাফ করবে না। যদি সিট ভাড়া না দেয় তবে তাদের সব মালপত্র বিক্রি করে টাকা পয়সা আদায় করে নিবে বলে হুমকি দেয় মেস মালিক জয়নাল।পলাশ এতেই যেন ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। সে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে প্রেমের অভিনয় করে জয়নালের ছোট মেয়েকে সুমাইয়াকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে গিয়ে দুজন বিয়ে করে ফেলে।
জয়নাল এই ঘটনায় এই মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে মেনে নেয় নি। উলটো মেস মালিক জয়নাল মেয়ের জামাই পলাশ এর বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করেছে।
এদিকে ঘটনার পর পলাশ ও মেসের মালিকের মেয়ে সুমাইয়া পলাতক রয়েছে। গোপন সূত্রে জানা গেছে সুমাইয়া ইমুতে বাসায় ভিডিয়ো কল করে বাসার সব খোজ খবর নিচ্ছে। তার বাবাকে যাতে বুঝিয়ে বলে, তাদের মেনে নিতে এই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।