শ্বশুড়বাড়িতে বারবার কাঁঠাল খেতে বলায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দিল স্বামী!
শ্বশুড়বাড়িতে বারবার কাঁঠাল খেতে বলায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দিল স্বামী!
শাস্ত্রে আছে ‘শ্বশুড়বাড়ি মধুর হাড়ি’
শ্বশুর বাড়ি কে না পছন্দ করে? ঘন ঘন শ্বশুড়বাড়িতে যাওয়া সব বাঙালি জামাইয়ের চিরকালের ইচ্ছা।
জামাই এলে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন যেন খাওয়ানোর জন্যে উঠে পড়ে লাগে। কি খাওয়াবে? জামাই কি পছন্দ করে?কি খায়। সবকিছু যেন তাড়াতাড়ি করে শুরু করে জামাইয়ের বাড়ির লোকেরা।
সাইফুলকে প্রায়ই এসব বিষয় নিয়ে বিপদে পড়তে হয়। সে মাঝে মাঝে ব্রিবতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যায় শ্বশুড়বাড়িতে। বউ কে শতবার বললেও বউকে কিছুতেই বোঝাতে পারে না সাইফুল। এ নিয়ে সাইফুলের রাজ্যের অভিমান।
সাইফুলের সামনে এত খাবার। এই খাবার শেষ করে সাইফুলের বারোটা ভেজে যায়। তবুও লজ্জায় তাকে খেয়ে উঠতে হয়। কি করবে বেচারা সাইফুল। জামাই মানুষ!
এই লকডাউনে শ্বশুড়বাড়িতে বেড়াতে এসে আটকে গেছে জামাই সাইফুল। তাই ভয়াবহ বিপদে পড়ে গেছে সাইফুল। এর মধ্যে ঘটে গেছে আরেক ঘটনা সাইফুল রাগ করে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছে।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়,কিছুদিন আগে শত জোরাজোরি সত্ত্বেও সাইফুলকে খেতে হয়েছে বাঙ্গী। সাইফুল দাত মুখ খিচে বাঙ্গি খেয়ে নিয়েছে।
কিন্তু গতোকাল সকাল থেকে কাঁঠাল খাওয়ার জন্যে ঘ্যানঘ্যান করছিলো বউ।সাইফুল বলেছে তার কাঠাল খেতে ভালো লাগে না। তারপর শ্বাশুড়ি এসেছে কাঁঠাল খাওয়ার সুপারিশ করতে। কিন্তু তবুও সাইফুল খেল না। আর তাতেই সাইফুলের শ্বশুড় এসে জোর করে তাকে কাঁঠাল খাওয়ালো।
কাঠাল খেয়ে সাইফুলের হয়ে গেল কষা। শেষমেশ রাগ করে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে শ্বশুড়বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি চলে আসলো সাইফুল।
শেষে সাইফুল আমাদের দু:খ কর বলেন, ‘ভাই আপনি ই বলেন? কাঁঠাল ও মানুষ খায়?’
এই কাঁঠালের কারণে আমার সংসার ভেঙে গেছে