“পরীক্ষায় বন্ধুর খাতা দেখে লিখলে কমে যায় চোখের ক্ষমতা”—দাবী একদল গবেষকের
“পরীক্ষায় বন্ধুর খাতা দেখে লিখলে কমে যায় চোখের ক্ষমতা”—দাবী একদল গবেষকের
পৃথিবীতে এমন মানুষ কি পাওয়া যাবে? যে মানুষটি একবারের জন্যে হলেও পরীক্ষায় বন্ধুর খাতা দেখে লিখে নি? কিংবা বন্ধুর কাছে কিছু ভুলে জিজ্ঞেস করে নি।
এমন মানুষ পৃথিবীতে নাই বললেই চলে। যদি বা থেকে থাকে তবুও ডাইনোসর বিলুপ্তির সাথে সাথে তারাও এখন বিলুপ্ত প্রায়।
পরীক্ষায় অন্যের খাতা দেখে লিখা নিয়ে এবার বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করছেন সব চাঞ্চলকর তথ্য। অন্যের খাতায় উকি ঝুঁকি মারলে স্যার বা ম্যাডামরা ছু করে খাতা নিয়ে যায় এটা বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য।
এই ঐতিহ্য কে লালন পালন করে আসছিলেন পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত মহান স্যার/ম্যামরা। কিন্তু এছাড়া এটির রয়েছে আরো কিছু ইতিবাচক দিক।
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করছে অন্য জনের খাতা দেখে লিখলে দিন দিন হ্রাস পায় চোখের কর্মক্ষমতা। ধীরে ধীরে এটি একসময় অন্ধত্ব এর পর্যায়ে চলে যাতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন লন্ডনের একদল গবেষক।
তারা তাদের গবেষনায় দেখিয়েছে আরেকজনের খাতা দেখে লিখতে হলে একটানা অনেক সময় তাকিয়ে থাকতে হয় যা চোখের উপর চাপ পড়ে। যে চাপ চক্ষুর স্নায়ু গুলোর ক্ষতি করে।
এছাড়া চোখের পলক না ফেলার কারনে চোখ সাধারণ অবস্থা থেকে বিচ্যুত হয়। যা চোখের অপটিক নার্ভের উপর প্রচন্ড সৃষ্টি করে চোখের ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। যার ফলে অল্প বয়সেই চশমা ব্যাবহার করতে এসব রোগীদের।
তবে যারা নিয়মিত পরীক্ষার হলে বন্ধুদের টা দেখে নিয়মিত লিখে তাদের ভবিষ্যৎ চোখের নানান সমস্যায় পড়তে পারে। তাদের চোখের ঝুকি অনেক বেশী।
বিজ্ঞানীরা সাবধান করে দিয়েছেন যে পরীক্ষার খাতায় অন্যের টা দেখে কোনভাবেই লিখা যাবে না। নিজের চোখকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই এটি সবার জন্যে পরিহার করতে হবে।