ট্র্যাভেল ভিসায় দুবাই গিয়ে ভিক্ষা করে মাসে আয় ২৩ লক্ষ টাকা!
ভিক্ষা করে এক মাসে ২৩ লাখ টাকা আয় করেছেন এক ভিক্ষুক! গত ৪ মে দুবাইয়ে এক ভিক্ষাবিরোধী সমাবেশে এ কথা জানায় দেশটির পুলিশ।
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে নবজাতক নিয়ে ভিক্ষা করার সময় এক নারীকে গ্রেফতার করে দেশটির পুলিশ। এর পরই বেরিয়ে আসে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
দুবাই পুলিশের কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আবদুল হামিদ আবদুল্লাহ আল হাসিমি বলেন, ওই ভিক্ষুক আরব আমিরাতের বাসিন্দা নন। কোনো পর্যটন কোম্পানির মাধ্যমে ভ্রমণ ভিসায় দুবাইতে এসে ভিক্ষাবৃত্তিতে যুক্ত হন তিনি। গত এক মাসে তিনি ভিক্ষা করে ১ লাখ দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ লাখ টাকা) আয় করেছেন।এ সময় আল হাসিমি বলেন, টুরিস্ট হয়ে দুবাই এসে ভিক্ষা করছে এমন ব্যক্তি ধরা পড়লে যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি এসেছেন তার ২ হাজার দিরহাম জরিমানা করা হবে। এই কাজের পুনরাবৃত্তি হলে ওই প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।
বিভিন্ন দেশ থেকে দুবাই এসে বেশ কিছু মানুষ এমন ভিক্ষাবৃত্তিতে নেমেছেন জানিয়ে হাসিমি আরও বলেন, শুধু এই ব্যক্তিই না, সম্প্রতি ভিক্ষা করে মোটা অংকের অর্থ আয় করা এক নারীকে গ্রেফতারর করছি আমরা। তিনি এ পেশায় বেশি অর্থ উপার্জন করতে এক শিশু ও এক নবজাতককে ব্যবহার করেছিলেন।
উল্লেখ্য, রমজানে দুবাইয়ে ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়ে যায়। এ সময় তারা ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে ভিক্ষা করে থাকে। তাই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতি রমজানেই মাঠে নামে দেশটির পুলিশ।
উল্লেখ্য, রমজানে দুবাইয়ে ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়ে যায়। এ সময় তারা ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে ভিক্ষা করে থাকে। তাই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতি রমজানেই মাঠে নামে দেশটির পুলিশ।
দুবাই পুলিশের বরাত দিয়ে এ বিষয়ে একটি পরিসংখ্যান দিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস।
সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে দুবাই থেকে গ্রেফতার হয় ২৪৩ জন ভিক্ষুক। ২০১৭, ২০১৬ ও ২০১৫ সালে এই সংখ্যা ছিলো ৬৫৩, ১ হাজার ২১ ও ১ হাজার ৪০৫। সে হিসাবে দুবাইয়ে ভিক্ষুকের সংখ্যা কমে আসছে।
গ্রেফতারের কারণেই ভিক্ষুকের সংখ্যা কমে আসছে বলে অভিমত দিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার আবদুল হামিদ আবদুল্লাহ আল হাসিমি।
সূত্রঃ Bangladesh Today