করোনা ভাইরাসকে সর্দিজ্বর বলার অনুরোধ-
করোনা ভাইরাসকে সর্দিজ্বর বলার অনুরোধ
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নিরাময়ের মহৌষধ লুকিয়ে আছে চায়ের মধ্যে! চীনের হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিদিন তিনবার করে চা পান করানোর মাধ্যমে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ করে তুলছেন। বার্তা সংস্থা ‘সিএনএন’ আর ‘চায়না ডেইলি নিউজ’–এর বরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি লেখায় এমনটিই দাবি করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করেছে। সারা বিশ্বের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনাভাইরাস। বাংলাদেশেও আক্রান্ত হতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতেও আমাদের অফিস বা কর্মক্ষেত্রে যেতে হয় কাজের জন্য। কিন্তু কর্মক্ষেত্র যদি নিরাপদ না হয়, তাহলে তো কাজ করা সম্ভব নয়। সুতরাং আমাদের সবার জানা উচিত কীভাবে আমরা আমাদের কর্মক্ষেত্র কোভিড-১৯–মুক্ত রাখতে পারি।
প্রথমেই জেনে নিই কীভাবে কোভিড-১৯ ছড়ায়। এই ভাইরাসটি মূলত কেউ যদি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন এবং তাহলে তাঁর কফ বা থুতুতেও এই ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়। যখন তিনি হাঁচি বা কাঁশি দেন, তখন এই তরল পদার্থটি অফিসের ডেস্ক, টেবিল বা টেলিফোনের ওপর পড়ে এবং সহজেই অন্য যেকোনো ব্যক্তি ওই জায়গাগুলোর সংস্পর্শে আসামাত্রই কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত হন। অর্থাৎ এই ভাইরাসটি খুব সহজেই এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আইইডিসিআর-এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে মোট ৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যাদের কারো নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়নি।
এছাড়া আগে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরো ৪ জন সুস্থ হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এনিয়ে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া মোট ৪৮ জনের মধ্যে ১৫ জন সুস্থ হলেন।
সংস্থাটির পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ এবং ৬ জন নারী। তাদের বয়স ২ বছর থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে এবং গড় বয়স ২৯।
গত কয়েকদিনের মত আজও আইইডিসিআরের পরিচালক জানান কমিউনিটি ট্রান্সমিশন সীমিত আকারে শুরু হলেও তা এখনও বিস্তার লাভ করেনি।
“একটা দু’টো জায়গায় সীমিত আকারে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে একটি জায়গায় আমরা সংক্রমণের উৎস খুঁজে পাইনি, তাই সেই জায়গাটিকে সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে নজরদারি কার্যক্রম চালিয়েছি এবং এখনও চালাচ্ছি।”
“আরেকটি জায়গায় আমরা নির্দিষ্ট ক্লাস্টার বা গুচ্ছে রোগী পেয়েছি। তাই এটিকে আমরা সামাজিক সংক্রমণ বলবো না, তবে সীমিত আকারে সংক্রমণ হয়েছে তা আমাদের পর্যবেক্ষণে এসেছে”, বলেন মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।