ফুটবল নিয়ে ফেইসবুকে পোস্ট দেয়ায় বয়ফ্রেন্ডের সাথে রিলেশন ব্রেক-আপ করলো সাদিয়া!
রিলেশনের আগে সাদিয়ার কড়া নিষেধ ছিল ফুটবল নিয়ে যাতে বেশী মাতামাতি না করে রিয়াদ।কিন্তু রিয়াদ সে কথা শুনে নি ।গতরাতে বার্সা হারায় নিউজফিডে উল্লাসে ফেটে পড়ে রিয়াদ।বেমালুম ভুলে যায় প্রেমিকা সাদিয়ার আদেশ।
নিজের করা প্রতিজ্ঞা ও ভুলে যায় প্রেমিক রিয়াদ। এই প্রতিজ্ঞা ভুলে একের পর এক বার্সা বন্ধুদের ট্রোল করে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে ভাসিয়ে দেয় টাইমলাইন।
ঘুম থেকে উঠে সাদিয়া এসব পোস্ট দেখে মাথায় আগুন জ্বলে যায়। সারারাত খেলা দেখে রিয়াল সাপোর্টার রিয়াদ তখন ঘুমে। কখন পুত করে সাদিয়ার ফোন এসেছে আবার পুত করে কেটে গিয়েছে তা একদম টের ই পায়নি রিয়াদ। এটাই যেন রিয়াদের কপাল পুড়েছে।
ঘুম থেকে উঠে সাদিয়াকে ফোন দিলে সাদিয়া রাগে ফোন কেটে দেয়।শেষে রিয়াদ সাদিয়ার আম্মুর নম্বরে ফোণ করে কান্নাকাটি করে বলে, আন্টি বিশ্বাস করেন unlcle যে বার্সা সাপোর্ট করে এটা জানতম না।
Uncle এর টিম কে পচায়া ফেইসবুকে পোস্ট দিয়েছিলাম এর পর থেকে সাদিয়া আমার ফোন রিসিভ করসে না। ফেইসবুকে ব্লক করে রেখেসে। এখন আমার কি হবে আন্টি ।আমাকে বাচান। বলে হাউমাউ করে কান্নাকাটি করে রিয়াদ
তবুও সাদিয়ার মায়ের কঠিন হদয়ে এতটুকু মায়া হয় নি।
তিনি রিয়াদকে উলটো ধমকে দিয়ে বলেন, ছোটলোকের বাচ্চা তোরা কয়টি UCL জিতেছিস? এমন লাফাচ্ছিস কেন এই টিম নিয়ে? আমি বেঁচে থাকতে কখনো আমার মেয়ে কোন ঔক্যজোট সাপোর্টারসার ঘর করতে পারে না। তুই আর ফোন দিবে না। আরেকবার ফোন করলে তোকে পুলিশে দিবো।জানিস তো আমার ভাই ডিজি ও বার্সা সাপোর্টার।
সাদিয়ার মায়ের এই ধমক খেয়ে বেলুনের মত চুপসে যায় ফুটবলদ রিয়াদ। এদিকে সাদিয়া ফোনে টেক্সট করে জানিয়ে দেয় ব্রেক-আপ!!!!!!!!!
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, রিয়াদ লাইভে এসে নিজের ঘটনার জন্যে ক্ষমা চেয়ে সাদিয়াকে ফিরে আসতে অনুরোধ করে।