কোয়ারেন্টাইনের বাংলা কি হবে এটা নিয়ে দুই বিসিএস পরীক্ষার্থীর হাতাহাতি মাথা ফেটে হাসপাতালে ভর্তি ১!




দেশে করোনা ভাইরাস আক্রমণ করার ফেলে সবচেয়ে বেশী শোনা যাচ্ছে ইংরেজী একটি শব্দ সেটা হচ্ছে ‘কোয়ারেন্টাইন’।বাঙালি বিসিএস খামারিরা এই শব্দটি নিয়ে খুব বেশী উত্তেজনা প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন বিসিএস ফেইসবুক গ্রুপে। এডমিনরা কোয়ারেন্টাইনের বাংলা কি হবে এই পোস্ট টি এপ্রুভ করতে করতে ক্লান্ত প্রায়।

কোয়ারেন্টাইনের বাংলা কি হবে এটা নিয়ে দুই বিসিএস পরীক্ষার্থীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া।শেষে এই ঝগড়া গিয়ে ঠেকলো হাতাহাতিতে। শুধু হাতাহাতি তে সীমাবদ্ধ রইলো না পেশীর ক্ষমতা দেখানোর জন্যে একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো চরম আক্রোশে।







ঘটনাসূত্রে জানা যায় ৪৩ বিসিএস ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী দুই বন্ধু রনি এবং জনি। তারা দুই বন্ধ দেশসেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে এবার বিসিএস এর জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাদের মধ্যে প্রায় চলতো জ্ঞানের যুদ্ধ।

কে কার চেয়ে বেশী জানে এটা নিয়ে তারা প্রায়ই টক্কর লেগে যেতেন। এই টক্কর যেন কাল হলো তাদের। সন্ধ্যায় এক বন্ধু রনি জিজ্ঞেস করলো ’ বলতো দোস্ত কোয়ারেন্টাইনের বাংলা কি হবে? বলতে পারলে ৫০০ টাকা পুরুস্কার আছে।’

৫০০ টাকার লোভে জনির চোখ চকচক করে উঠে।

জনি তৎক্ষানাৎ জানায় ‘কোয়েরন্টাইনের কোন বাংলা নেই।’ সে বাংলা অভিধান খুলে প্রমাণ করার চেষ্টা করে তার এই বক্তব্য। বাংলা অভিধানের প্রতিটা পাতা খুলতে খুলতে এক পর্যায়ে হাপিয়ে উঠেন জনি। তারপর বাজি জেতার ৫০০ টাকা চেয়ে বসে জনি

কিন্তু রনি জানায় তার কথা ভুল। সে মিথ্যা বলেছে। কোয়েরন্টাইনের বাংলা আছে।

আর এতেই জনি তার বন্ধু রনির উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে শুরু হয় গালাগালি। তারপর হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। রনি নিজেকে রক্ষা করতে রান্নাঘর থেকে বটি নিয়ে চলে আসে।

মেসের অন্যেরা তাদেরকে জোর করে ধরে রাখে। কিন্তু জনি ৫০০ টাকা তবুও চাইতে থাকে। এবং রাগের এক পর্যায়ে MP3 বই ছুড়ে মারে বন্ধুর কপালে। তাতেই ঘটে যায় কান্ড! বই ছুড়ে মারার ফলে কপাল ফেটে রক্ত পড়তে থাকে।







মাথা ফেটে যাওয়ায় রনিকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। রনি এখন কিছুটা সুস্থ।

এদিকে নিজের ভুল বুঝতে পেরে বন্ধুকে দেখতে জনি কমলা, আপেল কিনে দুপুরের দিকে মেস থেকে হাসপাতালের উদ্দ্যশ্যে রওনা দিয়েছে।

You may also like...