ErrorException Message: Argument 2 passed to WP_Translation_Controller::load_file() must be of the type string, null given, called in /home/bengalis/public_html/wp-includes/l10n.php on line 838
https://www.bengalisarcasm.com/wp-content/plugins/dmca-badge/libraries/sidecar/classes/ বয়ফ্রেন্ডকে ভিডিও কলে চুমু খেতে গিয়ে মোবাইলের ভাঙা কাঁচে ঠোটে কেটে হাসপাতালে ভর্তি প্রেমিকা!

বয়ফ্রেন্ডকে ভিডিও কলে চুমু খেতে গিয়ে মোবাইলের ভাঙা কাঁচে ঠোটে কেটে হাসপাতালে ভর্তি প্রেমিকা!

বয়ফ্রেন্ডকে ভিডিও কলে চুমু খেতে গিয়ে মোবাইলের ভাঙা কাঁচে ঠোটে কেটে হাসপাতালে ভর্তি প্রেমিকা।এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন নবম শ্রেনীর প্রেমিকা। চুমু নিয়ে এমন ঘটনা পৃথিবীতে প্রথম নয়।

 

তবে বিজ্ঞান বলছে—মানব আচরণের সবচেয়ে অমীমাংসিত অথচ শিল্পিত রূপ চুমু। সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে চুমু হচ্ছে দেওয়ার ব্যাপার কিন্তু বাংলায় এটি খাবারের তালিকায় রাখা হয়েছে। তাই কবিতা দিয়ে শুরু করা যাক চুমু বিষয়ক লেখাটি:

যারা চুমু খায় তারা সবাই জানে না
কেউ কেউ শুধু জানে
অমলিন শূন্যতা ওঁৎ পেতে থাকে
দু-ঠোঁটের মাঝখানে!

চুমু নিয়ে সারা পৃথিবীতে যেমন অনেক রকমের মাতামাতি আছে, তেমনি কোথাও কোথাও মনে করা হয় প্রকাশ্যে চুমু দেওয়াটা অপরাধ! মার্কিন মুল্লুকের বাসিন্দাদের চুমু নিয়ে রীতিমতো আদিখ্যেতা আছে। কেউ সমুদ্রের হাজার ফুট নিচে নেমে চুমু দিতে চায়, কেউ চুমু দিতে চায় হিমালয়ের চূড়ায় ওঠে। কেউ প্যারাসুটে করে বিমান থেকে নেমে চুমু খেতে খেতে মাটির দিকে আসতে চায়। আমেরিকার ঠিক পাশের দেশ মেক্সিকোতে প্রকাশ্যে চুমু দেওয়াটা অপরাধের পর্যায়ে পড়বে।

একই অবস্থা সৌদি আরবেও। জেলে যেতে চাইলে যে কেউ সৌদি আরবে গিয়ে প্রিয়জনকে প্রকাশ্যে একবার চুমু দিয়ে দেখতে পারেন। তবে সৌদি আরব আর মেক্সিকোর মধ্যে পার্থক্য শুধু উট ও জিরাফে। সৌদি আরবের জনপ্রিয় একটি কৌতুক এমন—রাজা তার উট-বহরের সবচেয়ে দামি ও সুদর্শন উটের সঙ্গে এক খরগোশের বিয়ে দিয়ে দিলেন। মিডিয়া এই বিয়ে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লো। উট ও খরগোশের বিয়ের তিনদিন পর এক পত্রিকা রিপোর্ট করলো—খরগোশ আর উটের বিয়ে-পরবর্তী ঘটনা তুঙ্গে। শুধু চুমু দিতে হলে খরগোশকে অনেকদূর পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। মেক্সিকোতে এই একই কৌতুক প্রচলিত থাকলেও সেখানে খরগোশের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে জিরাফের। এই দুই পশুর গলা দীর্ঘ বলেই খরগোশকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়।

তবে সৌদি আরবে উটরা একে অন্যের গাল ঘষে আদর জানায়। সেখানকার মানুষেরাও তাই। গাল ঘষার কারণ বৈজ্ঞানিক। মরুভূমির গরমে শরীরের যে অংশ খোলা থাকে সেসব গরম হয়ে যায়। তাই কোলাকুলির পর ঢেকে রাখা গাল ঘষে সহমর্মিতা জানায় সৌদিরা। এস্কিমোরা এমনিতেই শীতে জমে থাকে। তাই বড় বড় নিঃশ্বাস নেওয়ার পর তারা নাকে নাক ঘষে চুমু দেওয়ার ভান করে। তারা চায় না চুমুর কারণে শীতে তাদের ঠোঁট জমে যাক। আসলে যে দেশের মানুষের যেমন অভ্যাস। সুদানের মানুষরা মনে করে আত্মা মুখ থেকে বেরিয়ে ওপরে চলে যায়। তাই তাদের কাছে মুখ বন্ধ রাখাটাই ভালো।

জানি না সুদানের মানুষ আজও  মুখ বন্ধ করে চুমু দেয় কিনা। মঙ্গোলিয়ানরা বহুদিন ধরে জানতো না যে, চুমু বলে একটা ব্যাপার আছে। এ বিষয়ে তাদের এক্সপার্ট করে তুলেছিল ইংরেজরা। তবে ইঁদুররা তাদের ভাব বা আদর বিনিময় শুরু করে নাকে নাক ঘষে। সহজাত অনেক জিনিস পশু পাখি ও মানুষের জীবনে একই রকম প্রভাব ফেলে। মারামারি হাতাহাতি ঝগড়ার পরে বানর বা শিম্পাঞ্জি একে অন্যকে চুমু খায়।

 

 

দুই সাপ আদর বিনিময়ের আগে পরস্পরের মুখের দিকে তাকিয়ে নাচে। দুই হাতির আনন্দও শুঁড় ঘিরে। দুই হাতি যখন মারামারি করে তখন দূর্বাঘাস পায়ের নিচে পিষ্ঠ হয়। যখন দুই হাতি একে অন্যকে চুমু দেয়, তখনও দূর্বাঘাস পিষ্ঠ হয়। দূর্বাঘাস হচ্ছে নিম্ন-মধ্যবিত্ত আর গরিব মানুষের প্রতীক। হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন গরিব মানুষ চুমু দিলে সেটা ভালো নাও লাগতে পারে (অনেকটা সেই ছড়ার মতো-যার মুখে গন্ধ/তার চুমু বন্ধ!) তবে গরিব মানুষরা যখন সমবেতভাবে প্রতিবাদ করে, তখন নাকি সেটা শিল্প হয়ে যায়! আগেই লিখেছি চুমু হচ্ছে অমীমাংসিত মানব আচরণের শিল্পিত রূপ।

 

চুমুর এমন ইতিহাসে বিমোহিত করেছিল প্রেমিকাকে। প্রেমিকার পরিবারের বরাদ দিয়ে জানা যায় ঠোটের গা অনেক শুকিয়েছে।

You may also like...