ঈদে বাড়ি যাওয়ার টিকেট পাওয়ায় আনন্দে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন এক যুবক!
সাহরির সেরেই বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েন রূপম নামক এক যুবক। চলে আসেন গাবতলী আন্তজেলা বাস টার্মিনালে হানিফ পরিবহনের কাউন্টারের সামনে। এত ভোরে এসেও দেখেন, লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন হাজারো টিকিট-প্রত্যাশী। আজ শুক্রবার ভোরে ঢাকার ওই বাস টার্মিনালে গিয়ে এ রূপমের অভিজ্ঞতা হয়। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ বাসের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে-বাস মালিক সমিতির এই ঘোষণায় তিনি সেখানে যান।
রূপমের প্রয়োজন ৩ জুনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাসের দুটি টিকিট। গন্তব্য তাঁর পঞ্চগড় জেলা। কিন্তু হানিফ পরিবহনের কাউন্টার থেকে জানানো হয়, এখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাসের টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। এসি বাসের টিকিট বিক্রি হচ্ছে হানিফ পরিবহনের শ্যামলীর কাউন্টার থেকে। কিন্তু সেখানে খোঁজ করেও এসি বাসের টিকিট পাননি রূপম।
প্রচণ্ড গরমে রীতিমতো যুদ্ধ করে এখানে ওখানে দৌড়াদৌড়ি করেন টিকেটের জন্যে। ট্রেনের কাউন্টারে এক পায়ে খাড়া হয়ে অপেক্ষা করেন সোনার হরিন ঈদ টিকেটের কিন্তু তবুও যেন মেলে নি। প্রত্যাশীত টিকেট। শেষমেশ ভাগ্য দেবতা যেন তার উপর মুখ তুলে তাকিয়েছেন। আট ঘন্টা স্থির দাঁড়িয়ে থাকার পর কাটতে পারেন একটি টিকেট।
আর এতেই আনন্দিত হয়ে সাথে ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন কতিপয় যুবক।ইউরেকা ইউরেকা বলে আনন্দে চিৎকার করতে করতে মুরছা খান তিনি।
উত্তেজিত জনতা তাকে মাথায় পানি ঢেলে জ্ঞান ফেরাতে ব্যাথ হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে। জ্ঞান ফিরে এলে তিনি প্রলাপ বকতে থাকেন “ভাই আমি কোথায়? এখানে কেন? আমার টিকেট। টিকেট কই? ” বলে চিৎকার করতে থাকেন।
পরে তার সামনে কাঙখিত টিকেট টি এনে দেওয়া হলে তিনি স্বাভাবিক হন। উত্তেজিত জনতা তার সাথে একটি সেল্ফিও তুলে রাখে।