বাংলাদেশে অতি শীঘ্রই বন্ধ হতে যাচ্ছে না পাবজি,ফ্রি ফায়ার সহ চীনা ২০ টি অ্যাপ

দ্বিতীয় বার ডিজিটাল স্ট্রাইক করেছে ভারত। বন্ধ করা হয়েছে ৪৭টি চীনা অ্যাপ। তবে এবার তৃতীয় ডিজিটাল স্ট্রাইকের পথে হাঁটতে চলেছেন তারা। সূত্রের খবর জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপ পাবজি, লুডো ওয়ার্ল্ড বা আলিএক্সপ্রেসের মতো ২৭৫টি অ্যাপ বাতিল করবে ভারত। মোট ২৭৫টি চীনা অ্যাপের তালিকা তৈরি হয়েছে, যা কেন্দ্রের নজরে রয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরেই।

 

 

ভারতের নিরাপত্তা ও তথ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে এই অ্যাপগুলি ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেই মনে করছে কেন্দ্র। ফলে এই অ্যাপগুলি ব্যান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন জানাচ্ছে টিকটক ও উইচ্যাটের মতো অ্যাপ বাতিল করে কেন্দ্র নিজের ক্ষমতা বুঝিয়েছে।

 

 

এরপর থেকেই আরও কড়া নজরদারি চালানো শুরু হয়েছে চীনা অ্যাপগুলির ওপর। মোবাইল গেম সেনসেশন পাবজির সংস্থা টেনসেন্ট, আলিবাবা গ্রুপের শপিং পোর্টাল আলিএক্সপ্রেস বা শাওমির জিলি রয়েছে ব্যান হতে চলা অ্যাপের তালিকায়। এর মধ্যে শাওমির ১৪টি অ্যাপ রয়েছে। রয়েছে তুলনামূলক কম জনপ্রিয় কাপকাট বা ফেসইউ।

 

 

 

মেইটু, এলবিই টেক, পারফেক্ট কর্প, নেটাসে গেমস, ইয়ুজু গ্লোবালের নাম রয়েছে ব্যান হতে চলা অ্যাপের তালিকায়। সোমবার জানা যায়, নতুন করে আরও ৪৭টি চীনা অ্যাপ বাতিল করেছে কেন্দ্র।

 

 

জানা গিয়েছে যে ৫৯টি চীনা অ্যাপ আগে বাতিল করেছিল কেন্দ্র, তার ক্লোন এই নতুন ব্যান হওয়া অ্যাপগুলি। যেমন টিকটক লাইট, ইউচ্যাট লাইট ইত্যাদি। পাশাপাশি জানা গিয়েছে আরও ২৭৫টি অ্যাপ বাতিল করার রাস্তায় হাঁটতে পারে কেন্দ্র। এরমধ্যে রয়েছে অত্যন্ত জনপ্রিয় গেম অ্যাপ পাবজি। সেই পরিকল্পনা চলছে।গত শুক্রবার ভারত এই অ্যাপগুলি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো সোমবার থেকে সিদ্ধান্ত বলবত্ করা হয়েছে বলে খবর। টাইমস নাওয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী দ্বিতীয় বার ডিজিটাল স্ট্রাইকের জেরে চীনা অর্থনীতি নতুন করে ধাক্কা খাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এদিকে, জুন মাসের শেষে, ২৯শে জুন রাতারাতি ৫৯টি চীনা অ্যাপ বাতিল ঘোষণা করে ভারত। ভারত-চিন সংঘাতের পরই একধাক্কায় ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে দেয় মোদী সরকার। টিক টক, হ্যালো’র মত বেশ কিছু জনপ্রিয় অ্যাপ ভারতে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাতারাতি।

 

এবার ভারতের মতো বাংলাদেশে শোনা যাচ্ছে এসব গেম বন্ধের তোড়জোড়।নৈতিক মূল্যবোধ অবক্ষয় এবং সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার পেছনে এসব গেমের অন্যতম কারন বলে দাবী করছে কেউ কেউ। অভিভাবকরা নিজেরা ও যাচ্ছেন এইসব গেইম যাতে বন্ধ হয় সেজন্যে তারা সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন ।নিজের সন্তানের ভবিষতের কথা চিন্তা করে হলেও তারা যাতে এসব গেম বন্ধ করে দেয় বলে অনুরোধ করেছেন কেউ কেউ।

You may also like...