MP3 গাইড থেকে প্রশ্ন কমন না পড়ায় বইয়ের পাতা ছিঁড়ে বিমান বানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা!
আজ বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে হয়ে গেলো বাংলাদেশ কর্ম কমিশন (BPSC)এর বিসিএস ৪০ তম পরীক্ষার প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারী পরীক্ষা।এই ধাপে উত্তীর্ণ হলে বসা যাবে লিখিত পরীক্ষায়।
লিখিত পরীক্ষা সফলতার সাথে উর্ত্তীন হতে পারলেই ভাইবা।পর্যায়ক্রমে সফল হতে পারলেই দেখা মিলবে “বিসিএস” নামক সোনার হরিণের।যার জন্যে ওঁত পেতে আছে দেশের লক্ষ তরুণ-তরুণী।
বাংলাদেশের হাজারো বেকার চাকুরীপ্রত্যাশীরা বরাবরের মতো এবারো অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের সবচাইতে বড় পেশাদার এই পরীক্ষায়।
৪০ তম বিসিএসে চার লক্ষ বারো হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।যার বিপরীতে আসন মাত্র দুই হাজার।
কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারো প্রশ্ন বিপণন ও প্রশ্নের মানের নিয়ন্ত্রনে পিএসসি কঠিন দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।বেসিক নির্ভর প্রশ্ন প্রনয়নে তারা এবার যেন অনেকটাই সফল।
যার দরুন কোন গাইড কিংবা চোথা(শীট) বা চটি বই থেকে মেলেনি একটি প্রশ্ন ও। এমনকি বাজারের বড় বড় গাইড বই ও পিএসসির মন বুঝতে দুর্দন্তভাবে ব্যার্থ হয়েছে।
তারই প্রভাব পড়েছে বিসিএস প্রত্যাশীদের উপর। তারা সারাদিন রাত পড়েও আশানুরূপ পরীক্ষা দিতে পারেন নি। কেননা বাজারের কোন গাইড একটি প্রশ্ন কমন পান নি তারা।
নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আতেল জানান, ভাই বিশ্বাস করবেন কি না জানি না। আমি প্রফেসর জব স্যলুউশন ৭ বার,আর এম্পি থ্রি ৩ রিভিশন দিয়া পরীক্ষার হলে ঢুকেছি। আমার একটা প্রশ্ন ও কমন পড়ে নি। এখন আমার কি হবে ভাই?
এইবার আমার বিসিএস না হলে আব্বু থুক্কু (প্রেমিকার আব্বু) আমাকে মেরেই ফেলবে। প্লিজ ভাই কিছু একটা করেন ’ বলে তিনি কাঁদতে থাকেন।
আরেকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বিসিএস পরীক্ষার্থী নয় বলে রং নম্বর বলে ফোন রেখে দেন।
এদিকে গাইড বই থেকে প্রশ্ন কমন না পড়ায় চটে গেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বাজারের এসব বই বর্জনের ডাক দেন। অনেকে বইয়ের পাতা ছিঁড়ে বিমান বানিয়ে প্রতিবাদ করেন।
অনেকে এতগুলো টাকা গচ্ছা যাওয়ায় আর মানতে পারছেন।তারা এসব পাবলিকেশনের বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইছেন।