কিভাবে লকডাউন দিতে হবে তা শিখতে বিদেশে যেতে চাচ্ছেন ১০০জন কর্মকর্তা

কিভাবে লকডাউন দিতে হবে তা শিখতে বিদেশে যেতে চাচ্ছেন ১০০ কর্মকতা

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সারাদেশে আজ সোমবার থেকে ‘লকডাউন’ কার্যকর হচ্ছে। আজ সকাল ৬টা থেকে আগামী ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সাত দিন এটা বহাল থাকবে। গতকাল রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তবে এই লকডাউন কার্যকর করা নিয়ে সরকারকে বেশ চ্যালেঞ্জেই পড়তে হবে বলে মনে করেন সংশ্নিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে এই অবস্থার মধ্যেই গত চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও বেড়েছে। গতকাল রোববার নতুন করে ৭ হাজার ৮৭ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল এক দিনে ৬ হাজার ৮৩০ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। গতকালের আগে সেটিই ছিল এক দিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের ঘটনা। এ পর্যন্ত দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৪ জনে পৌঁছেছে।

একই সঙ্গে গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৫৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট ৯ হাজার ২৬৬ জনের মৃত্যু হলো। গত চব্বিশ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ। এর বিপরীতে গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত আরও ২ হাজার ৭০৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

এদিকে সোমবার লকডাউন ঘোষনা করার পর থেকে রাজধানীতে গন পরিবহন বন্ধ হয়েছে। কিন্তু মানুষ তবুও রাস্তায় বের হয়ে পড়েছে। মানুষজন ইচ্ছেমতো ছুটাছুটি করছে। তাই এই লকডাউন কে অ কার্যকর ই বলে দিয়েছেন অনেকে।

তাই কিভাবে লক ডাউন দিলে মানুষ আরো সচেতন হবেন এবং উন্নত বিশ্বে এই লকডাউন কিভাবে কাজ করে মূলত তাই শিখতেই বিদেশে যেতে যান ১০০ কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, আসলে এই লকডাউন কোন কাজ হচ্ছে না। তাই নতুন পন্থায় লকডাউন শিখতে হবে আমাদের। তা না হলে দেশে করোনা সংক্রমণ আটকানো যাবে না তাই বিদেশ যেতেই হবে আমাদের। কিন্তু ১০০ জন যেতে হবে কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন

‘আরে মিয়া বুঝেন না নাকি? একতাই বল। সবাই মিলেই শিখবো আরকি।এই বয়সে এত কিছু মনে রাখা যায় নাকি?’

সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় একজন অজ্ঞাত পরিচয়ে দৌড়ে এসে ‘ওই মিয়া কিসের রিপোর্ট করেন দেখি দেখি’ বলে ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেন।ছিনিয়ে নিয়ে
কঠিন মাইর দেন।মাইর দিয়ে রিপোর্টারের প্যান্ট খুলে নেন।প্যান্ট খুলে নেওয়ার সময় ঐ ব্যাক্তি বলেন

‘সাম্বাদিক ভাই এই যে নিজের দিকে এখন দেখেন দেশে এখন এরকম লকডাউন চলতেসে কিন্তু আমরা চাই পূর্নাঙ্গ লকডাউন তাই বিদেশ যাইতে হবে বুঝলেন।আমরা লকডাউন প্রো এবং প্রো ম্যাক্স আমদানি করবো’

সাংবাদিক অসহায়ের মতো কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে ফুটেজ গুলো নিয়ে অফিসে ফেরত আসেন।এবং কাউকে কিছু না বলে ফোন বন্ধ করে রেখেছেন।

এখন তাকে ফোন দিলে মেসেজ করছেন ‘ভাই কঠোর লকডাউনে আছি।ডিস্টাব কইরেন না প্লিজ’

প্রিয় পাঠক শুনুন!!

(বেঙ্গলি সার্কাজমে প্রকাশিত সকল প্রকার খবর সত্য তো দূরে থাক।মিথ্যার ও ধারে কাছে নাই। তাই বিশ্বাস তো পরের কথা অবিশ্বাস ও করার প্রশ্নেই আসে না!)

 

You may also like...