ErrorException Message: Argument 2 passed to WP_Translation_Controller::load_file() must be of the type string, null given, called in /home/bengalis/public_html/wp-includes/l10n.php on line 838
https://www.bengalisarcasm.com/wp-content/plugins/dmca-badge/libraries/sidecar/classes/ করোনায় ত্রান দিতে গিয়ে পরিচয় তারপর প্রেম অত:পর বিয়ে!

করোনায় ত্রান দিতে গিয়ে পরিচয় তারপর প্রেম অত:পর বিয়ে!




মহামারি করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রায় সব দেশেই চলছে লকডাউন। লকডাউনে রাস্তার পাশে রোজ অসহায়দের খাবার দিতে যেতেন ছেলেটি। খাবারের আশায় হাত বাড়িয়েছিলো একটি মেয়ে।

ত্রাণ দিতে গিয়েই ওই মেয়ের সঙ্গে আলাপ হয় ছেলেটির। প্রথমে হয় বন্ধুত্ব, এরপর প্রেম। শেষ পর্যন্ত সাত পাকে বাঁধা পড়লো দুজন।
ঘটনা ভারতের কানপুরের। ছেলেটির নাম অনিল। পেশায় গাড়িচালক। আর ওই মেয়েটি নীলম। নীলমের বাবা মারা গেছেন বছর খানেক আগে। ভাই-ভাবি তাকে প্রায়ই মারধর করতো। এক রাতে বাড়ি থেকেই বের করে দেয়া হয় নীলম ও তার মা’কে। মা প্যারালাইসড। খোলা রাস্তার পাশেই কোনও মতে দিন গুজরান হয়ে যেত। কিন্তু লকডাউনে চরম বিপদে পড়ে যায় মা-মেয়ে।



কানপুরের কাকাদেওয়ের নীর-শীর ক্রসিংই ঠাঁই হলো ওদের! এখানেই আলাপ হলো অনিলের সঙ্গে নীলমের। অনিল রোজ খাবার দিতে যেত দুস্থদের। নীলমকে দেখে ভালো লেগে যায়। পরের দিকে নিজে হাতে রেঁধে মা-মেয়ের জন্য খাবার নিয়ে যেত অনিল। ব্যাস! বিয়ের প্রস্তাব দিয়েই বসল অনিল।
সম্প্রতি কানপুরের লর্ড বুদ্ধ আশ্রমে নীলম-অনিলের চার হাত এক হয়েছে। লকডাউনের নিয়ম মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই বিয়ে হল। অনিলের বন্ধু লাল্টা প্রসাদ, যিনি নিজেও খাবার দিতে যেতেন, তিনিই রাজি করালেন বন্ধুর বাবাকে এই বিয়ের জন্য মত দিতে।
গত দু’মাসের এই লকডাউন যে মানুষকে শুধু তিক্ততার স্বাদই দেয়নি, বরং কারও কারও ভাঙা সম্পর্কও জোড়া লাগিয়েছে, কিংবা নতুন করে সম্পর্কও গড়ে তুলেছে, নীলম আর অনিলই বোধহয় তার জ্বলন্ত উদাহরণ।


You may also like...