ম্যারি স্ক্যানার মেশিন দিয়ে পরীক্ষা করছে পুলিশ।বাইকে গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরলেই গুনতে হচ্ছে জরিমানা
পহেলা বৈশাখে মোটরসাইকেলে কেবল স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বসতে পারবেন- দৈনিক ইত্তেফাক

এস এম পি ( সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ)
বাসা থেকে আসল কাবিননামা নিয়েও বের হতে বলা হয়েছে।বায়োমেট্রিক পদ্ধতি নিবন্ধন করা হচ্ছে কাবিননামা গুলো।
আসন্ন পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে এস এম পি ( সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ) জানিয়েছে পহেলা বৈশাখে মোটর সাইকেলে কেবল স্বামী-স্ত্রী একসাথে বসতে পারবে।পেছনে স্ত্রীর বদলে অন্য কেউ(গার্ল ফ্রেন্ড,অন্যের বউ) বসতে পারবে না। ভ্রমণ আর ঘুরাঘুরির ক্ষেত্রেও একি নিয়ম বলবৎ থাকবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে এই খবরে প্রেমিক-প্রেমিকারা মুষড়ে পড়েছে।পুলিশের এমন নিয়মে তারা রীতিমতো হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। পহেলা বৈশাখ কে রীতিমতো ভালোবাসা দিবস বানিয়ে ফেলা এসব প্রেমিক যুগল নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে। এটার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দিচ্ছে ঘন ঘন স্ট্যাটাস এবং এসব নিউজে হা হা রিয়েক্ট দিয়ে তুখুড় প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
হুট করে এমন নিয়ম কেন করা হয়েছে? এটা জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানায়, ‘আরে ভাই শুনেন।এইসব লুতুপুতু প্রেমের কাহিনী।
এই দিনে প্রেমিকরা নিজের বাইকে উঠিয়ে প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। প্রেমিকারা ও বাসায় ফ্রেন্ডের কাছে যাবে বলে বুগিচুগি বুঝিয়ে বাসা থেকে বেড়িয়ে পড়ে।পরিচিতো লোকজনের সামনে রাস্তায় ধরা পড়ে গেলে নিজের প্রেমিককে কাজিন বলে চালিয়ে দেয়।

প্রেমিকা নিয়ে আসলেই ধরা
মহান প্রেমিকারা এই দিনে মাথায় ফুলের রাউটার গুঁজে শাড়ি পড়ে বয়ফ্রেন্ডের বাইকের পিছনে ঘুরে বেড়ায়।ফুচকা টুচকা খায়। মহয়সী কেউ কেউ চিপাচুপায় ভ্রমণ করে। লিটনের ফ্ল্যাটে অর্ধদিবস কাটিয়ে কিছু হয় নাই টাইপ একটা ভঙ্গি নিয়ে সন্ধ্যায় বাসায় ফেরত আসে।
কয়েকদিন পড়ে বয়ফ্রেন্ড ব্রেক-আপ করে দিলে এসব প্রেমিকারাই ছ্যাকা খেয়ে নিজের টাইমলাইনে ‘I hate boy’ লিখে স্ট্যাটাস দেয়। আপনি বলেন আমরাও তো ছেলে এইসব কেমনে সহ্য করি।তাছাড়া কেউ কেউ নিজের সুন্দর প্রোপিক ডিলিট দিয়ে প্রোপিকে বিলাইয়ের ছবি লাগিয়ে দেয়।
বলেন ভাই এইসব কি সহ্য করার মতো। তাই এই নিয়ম করা হয়েছে’ বলে তিনি গম্ভীর হয়ে আকাশের দিকে কিচ্ছুক্ষণ তাকিয়ে থাকেন।
এইদিকে অনেকে বুদ্ধি করে নিজের গার্লফ্রেন্ডকে নকল কাবিননামা দিয়ে বউ পরিচয়ে বাইকের পেছনে ঘুরে বেড়াচ্ছে।তাদের ধরতে বিদেশ থেকে আনা হয়েছে ম্যারি স্ক্যানার মেশিন। এই মেশিন দিয়ে চেক করা যাচ্ছে বিয়ে হয়েছে কি না? এই স্ক্যানার ছোয়ালেই পুত পুত করে লাল বাতি জ্বলে উঠলেই বুঝা যাচ্ছে এদের বিয়ে হয় নি।এরা বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড। নয়তো পরকীয়া।

ম্যারি স্ক্যানার মেশিন দিয়ে পরীক্ষা করে জানা যাচ্ছে বিবাহিত কি না!
সবুজ বাতি জ্বলে উঠলেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে যুগল কে। সবুজ সংকেতের মানে হচ্ছে তারা স্বামী স্ত্রী। তারা সেইফ!