পরীক্ষায় ফেল করলে বিয়ে করা যাবে না, ২০২০ থেকে সরকারি নিয়ম

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

‘পরীক্ষায় ফেল করলে বিয়ে দিয়ে দিবো’- এমন কথা হারহামেশা শোনা যায় আমাদের দেশে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার চিত্রটা ভিন্ন। সেখানে বিয়ে করতে হলে পরীক্ষায় পাস করতে হবে। তারপর সরকার থেকে দেয়া হবে প্রশংসাপত্র। তবেই মিলবে বিয়ের অনুমতি।

জানা গেছে, ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে পাস করতে হবে তিন মাসের প্রি ওয়েডিং কোর্স। শুধু কোর্স করলেই হবে না, সঠিক নম্বরও পেতে হবে। ২০২০ থেকে এই নিয়ম চালু করতে চলেছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। প্রশাসন সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

ইসলাম ধর্মে বিবাহের মাধ্যমে নারী ও পুরুষের মধ্যকার যৌন সম্পর্কের অনুমতি রয়েছে। ইসলামী বিবাহরীতিতে পাত্র পাত্রী উভয়ের সম্মতি এবং বিবাহের সময় উভয়পক্ষের বৈধ অভিভাবক বা ওয়ালীর উপস্থিতি ও সম্মতির প্রয়োজন। ইসলামী বিবাহে যৌতুকের কোন স্থান নেই। বিয়ের পূর্বেই পাত্রের পক্ষ হতে পাত্রীকে পাত্রীর দাবি অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বা অর্থসম্পদ বাধ্যতামূলক ও আবশ্যকভাবে দিতে হয়, একে দেনমোহর বলা হয়। এছাড়া বিয়ের পর তা পরিবার পরিজন ও পরিচিত ব্যক্তিবর্গকে জানিয়ে দেয়াও ইসলামী করনীয়সমূহের অন্তর্ভুক্ত।[

ইসলামী বিধান অনুযায়ী, একজন পুরুষ সকল স্ত্রীকে সমান অধিকার প্রদানের তার চাহিদা অনুসারে সর্বোচ্চ চারটি বিয়ে করতে পারে। আর সমান অধিকার দিতে অপারগ হলে শুধু একটি বিয়ে করার অনুমতি পাবে। মেয়েদের ক্ষেত্রে একাধিক বিয়ের অনুমতি নেই। ইসলামে একজন মুসলিম একজন অমুসলিমকে বিয়ে করতে পারবে যদি উক্ত অমুসলিম ঈমান আনে (ইসলাম গ্রহণ করে)।

প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে দেশে ক্রমশ বাড়তে থাকা বিবাহবিচ্ছেদ আটকাতেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত। কীভাবে সংসারের দৈনন্দিন কাজ সামলে দাম্পত্য জীবন সুখের করে তোলা করা যায়, থাকছে সেই প্রশিক্ষণও। বেশ কিছু রােগ এবং তার প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কেও আলােচনা করা হবে এই পাঠক্রমে।

সম্প্রতি সে দেশের হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স কো-অর্ডিনেটিং মন্ত্রী মুহাদজির এফেন্দি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, নব দম্পতিরা যাতে শান্তিতে সংসার করতে পারেন, সে কারণেই প্রি-ওয়েডিং কোর্সের ভাবনা। সরকারের এই প্রি-ওয়েডিং কোর্সের পাঠক্রমে থাকছে যৌন শিক্ষা, সন্তান কীভাবে মানুষ করবেন তার প্রশিক্ষণ।

You may also like...