পাপিয়ার রান্নার হাত দেখতে চায় হাবু ভাই।




সম্প্রতি যুবলিগ মহিলা কর্মী পাপিয়ার গোমর ফাস হয়। এই রাজনৈতিক পরিচয়ে সকল অপকর্ম চালানো সহজ হয়ে গিয়েছিল তার জন্য। বর্তমানে সে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। পুলিশের রিমান্ড ও মঞ্জুর করেছে আদালত।তাকে যুবলিগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তার এ অসহায় অবস্থায় হাত বিশেষজ্ঞ হাবু ভাই তার রান্নার হাত দেখতে চেয়েছেন। তিনি দেখতে চান আর কতো কাজে পারদর্শী পাপিয়া। রান্নার হাত ভালো হলে ভবিষ্যতে পাপিয়াকে তার সাথে কাতারে নিয়ে যেতে চান তিনি।

রোববার সকালে রাজধানীর ফার্মগেট ইন্দিরা রোডে পাপিয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

পরে সোমবার দুপুরে পুলিশ পাপিয়া দম্পতিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে জাল টাকা উদ্ধারের মামলায় ১০ দিন ও অস্ত্র-মাদক মামলায় তাদের ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।ঢাকা মহানগর হাকিম শাহীনুর রহমান তাদের গ্রেফতার দেখান ও আবেদন মঞ্জুর করেন।



সোমবার অস্ত্র ও মাদকের পৃথক তিন মামলায় শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের পাঁচদিন করে মোট ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমান ও মোহাম্মদ জসীম। ১৫ দিন রিমান্ডের মধ্যে বিমানবন্দর থানার জাল টাকা উদ্ধারের মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমানের আদালতে পাঁচদিন এবং শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র ও মাদক আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে পাঁচদিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

বিমানবন্দর থানার মামলায় গ্রেফতার চারজন আসামি হলেও শেরেবাংলা নগর থানার মামলার আসামি কেবল পাপিয়া দম্পতি।এদিকে রাজধানী ও নরসিংদীতে পাপিয়ার বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়িসহ নামে-বেনামে বিপুল অর্থের সন্ধান পায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। রাজধানীর বিভিন্ন পাঁচতারকা হোটেলে নারীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করে অর্থ আয় করতেন তিনি।এ ছাড়া রেলওয়ে ও পুলিশে এসআই পদে চাকরির কথা বলে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

প্রাথমিক তদন্তে ফার্মগেটে পাপিয়ার দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, নরসিংদী শহরে দুটি ফ্ল্যাট, দুই কোটি টাকা মূল্যের দুটি প্লট, চারটি বিলাসবহুল গাড়ি এবং গাড়ি ব্যবসায় প্রায় দেড় কোটি টাকা বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের ব্যাংকে নামে-বেনামে অনেক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত থাকার কথা জানা গেছে।



পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন রেলওয়ে এবং পুলিশের এসআইতে চাকরির প্রলোভনে ১১ লাখ টাকা, একটি কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার কথা বলে ৩৫ লাখ টাকা, একটি সিএনজি পাম্পের লাইসেন্স করে দেয়ার কথা বলে ২৯ লাখ টাকা নেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।এর বাইরে নরসিংদী এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছে বলে জানা গেছে।

আরও জানা যায়, পাপিয়ার আয়ের আরেকটি অন্যতম উৎস নারীদের দিয়ে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করানো। ঢাকার বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে অবস্থান করে কম বয়সী মেয়েদের দিয়ে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজে বাধ্য করা হতো। যাদের অধিকাংশই নরসিংদী এলাকা থেকে চাকরির প্রলোভনে ঢাকায় আনা হয়েছিল। অনৈতিক কাজে বাধ্য না হলে তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো।


Bengali Sarcasm Desk

এই ডেস্কে কখন কে বসে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই!

You may also like...