ErrorException Message: Argument 2 passed to WP_Translation_Controller::load_file() must be of the type string, null given, called in /home/bengalis/public_html/wp-includes/l10n.php on line 838
https://www.bengalisarcasm.com/wp-content/plugins/dmca-badge/libraries/sidecar/classes/ শ্রীলংকার জয়কে ক্রিকেটের আপসেট বলে দাবী করল ভারতীয় গন মাধ্যম NDTV!

শ্রীলংকার জয়কে ক্রিকেটের আপসেট বলে দাবী করল ভারতীয় গন মাধ্যম NDTV!



বয়সটা ৩৫ পেরিয়ে ৩৬ ছুঁইছুঁই। কিন্তু তাতে বোলিংয়ের ধার কমেনি বিন্দুমাত্র। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এদিন বুড়ো লাসিথ মালিঙ্গাই এনে দিলেন অবিশ্বাস্য এক জয়। ইংলিশদের টপ অর্ডার ভেঙেছেন। এমনকি প্রয়োজনীয় সময়ে ব্রেক থ্রু এনে ভেঙেছেন জুটি। তাতে স্বল্প পুঁজি নিয়ে ২০ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে নিজেদের সেমিফাইনালের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখেনি শ্রীলঙ্কা, জমিয়ে দিয়েছে বিশ্বকাপও।

শ্রীলঙ্কার জয়ে লাভবান হয়েছে বাংলাদেশও। কারণ ইংলিশদের শেষ তিনটি প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও নিউজিল্যান্ড। দুটি ম্যাচে হারলে আর বাংলাদেশ নিজেদের শেষ তিনটি ম্যাচে জিতলে শেষ চারে উঠতে পাড়বে টাইগাররা।

মালিঙ্গার পাশাপাশি দলের জয়ের অন্যতম নায়ক সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজও। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে অনবদ্য এক ইনিংস খেলে শ্রীলঙ্কাকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছেন তিনিই।

তবে মালিঙ্গার তোপে লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। দলীয় ২৬ রানেই দুই ওপেনারকে বিদায় করেন এ পেসার। এরপর জো রুটের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়ে সে চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান। কিন্তু ইশুরু উদানার বলে তার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ইংলিশ অধিনায়ক। তাতে ম্যাচে ফিরে আসে লঙ্কানরা।



তবে চতুর্থ উইকেটে বেন স্টোকসকে নিয়ে দলের হাল ধরেন দারুণ ছন্দে থাকা রুট। গড়েন ৫৪ রানের জুটি। এ জুটিও ভাঙেন মালিঙ্গা। তুলে নেন বিশ্বকাপে নিজের ৫০তম উইকেট। এরপর ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান জস বাটলারকেও তুলে নেন তিনি। তাতে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে শ্রীলঙ্কা। মালিঙ্গার তোপ শেষ না হতে ঘূর্ণি জাদু দেখান ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ৮ রানের ব্যবধানে তুলে নেন ৩ উইকেট। তখনই কার্যত জয় দেখতে শুরু করে লঙ্কানরা।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। দলীয় ৩ রানেই নেই দুই ওপেনার। তবে দ্বিতীয় উইকেটে আভিস্কা ফের্নান্ডোকে নিয়ে দলের হাল ধরেন কুশল মেন্ডিস। ৫৯ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নেন তারা। এরপর আভিস্কার বিদায়ের পর ম্যাথিউজের সঙ্গে আরও একটি ভালো জুটি গড়েন কুশল মেন্ডিস। স্কোর বোর্ডে ৭১ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটসম্যান।

কুশল মেন্ডিসকে অধিনায়ক ইয়ন মরগানের তালুবন্দি করে এ জুটি ভাঙেন আদিল রশিদ। এমনকি পরের বলে জীবন মেন্ডিসকে আউট করে বড় চাপে ফেলে দেন লঙ্কানদের। এরপর ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজে নামেন ম্যাথিউজ। ৫৭ রানের জুটি গড়েন তারা।

শেষ পর্যন্ত লড়াই করে ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ম্যাথিউজ। খেলেন ৮৫ রানের ইনিংস। ১১৫ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। উইকেটে নেমেই বেশ হাত খুলে ব্যাটিং করে মাত্র ৩৯ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৯ রান তোলেন আভিস্কা। কিছুটা ধীর গতিতে ব্যাট করে ১১০ বলে ৪৬ রান করেন কুশল মেন্ডিস। এছাড়া ধনাঞ্জয়ার ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান।



You may also like...