মায়ের পেটে বসেই বিসিএসের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যে চালু হচ্ছে আইর্ফুস এডভান্সড কোর্স!








“জন্মিলে বিসিএস দিতে হইবে” চিরন্তন সত্য এই বাক্য।তাই মানুষকে আরো সচেতন করতে কোচিং জগতে শীর্ষে থাকা আইর্ফুস চালু করছে এক নতুন পদ্ধতি।

এখন থেকে শিশু বয়স থেকেই সহজ ভাবে বললে মায়ের পেটে বসেই বিসিএসের আগাম প্রস্তুতি নেয়া যাবে।আর এটির জন্যে তারা চালু করেছে এক অভিনব এডভান্সড কোর্স।





ভবিষৎ নবজাতক শিশুকে আর একটু এডভান্স করতেই আইফুস কোচিং চালু করেছে এই ইনোভেটিভ আইডিয়া।

উল্লেখ্য আজ বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে হয়ে গেলো বাংলাদেশ কর্ম কমিশন (BPSC)এর বিসিএস ৪০ তম পরীক্ষার প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারী পরীক্ষা।এই ধাপে উত্তীর্ণ হলে বসা যাবে লিখিত পরীক্ষায়।

লিখিত পরীক্ষা সফলতার সাথে উর্ত্তীন হতে পারলেই ভাইবা।পর্যায়ক্রমে সফল হতে পারলেই দেখা মিলবে “বিসিএস” নামক সোনার হরিণের।যার জন্যে ওঁত পেতে আছে দেশের লক্ষ তরুণ-তরুণী। বাংলাদেশের হাজারো বেকার চাকুরীপ্রত্যাশীরা বরাবরের মতো এবারো অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের সবচাইতে বড় পেশাদার এই পরীক্ষায়।

৪০ তম বিসিএসে চার লক্ষ বারো হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।যার বিপরীতে আসন মাত্র দুই হাজার।

চার লক্ষ শিক্ষার্থী থেকে মাত্র দুই হাজার জনের তালিকায় চলে মোটেও সহজতর কোন কাজ নয়। তার জন্যে করতে হয় কঠোর পরিশ্রম। কঠোর পরিশ্রম দৃঢ মনোবল নিয়ে অনেকে বিসিএসর জার্নিতে অনেকে ব্যার্থ হন।

তাদের কথায় মূলত চিন্তা করেন এমন এক আইডিয়া উদ্ভাবন করছে।আইর্ফুস এর কাছে এ ব্যাপারে বিস্তারির কথা বলতে তাদের মুখোমুখি হয় বেঙ্গলি সার্কাজম টিম। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ নিচে তুলে ধরা হলোঃ

বেস টিমঃ আপনাদের এই কোর্সটির ব্যাপারে বিস্তারিত বলুন একটু বেঙ্গলি পাঠকদের জন্যে।





পরিচালকঃ শুনেন বর্তমান যুগ হইলো প্রতিযোগীতার যুগ। এই যুগে টিকে থাকতে হলে করতে হবে যুদ্ধ। প্রতিযোগীতার যুদ্ধ। তাই যুদ্ধে নিজেকে এগিয়ে নিতে মায়ের পেটে বসে বসে নিতে হবে প্রস্তুতি।কথায় আছে না, কঠিন প্রস্তুতি সহজ যুদ্ধ।

বেস টিমঃ ইয়ে মানে আপনারা কিভাবে কোর্স টি পরিচালনা করবেন? মায়ের পেট বলে কথা এখানে তো

পরিচালক: সোন্দর প্রশ্ন করছেন আপনি। আমাদের এই কোর্স হবে নয় মাস ব্যাপি। প্রথম মাসে শিশু তো কঠিন কিছু শিখতে পারবে না। তাই তাকে বর্ণমালা শিখাতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে বয়স হওয়ার সাথে সাথে বিসিএসের প্রস্তুতি শুরু হবে।

বেস টিমঃ তা পড়াশুনার পদ্ধতি টা যদি বলতেন

পরিচালকঃ (ক্ষেপে গিয়ে) আপনি মিয়া বেশী কথা বলেন।নবজাতকরে পড়ামু কেমনে? মায়ের পেটে ডুইক্কা? তারে পড়াতে হইবে খাবারের মাধ্যমে। মায়ের খাবারের সাথে কোচিং এর শিট,প্রশ্ন,বই মডেল টেস্ট সব গুলায়া দিতে হবে। মা এসব খাবে নবজাতক ও খাবে। ব্যাস সিম্পল

বিদ্রঃ[ এইটুকো ইন্টারভ্যু নেওয়ার পর তাকে পরের প্রশ্ন করা হলে তিনি অত্যাধিক রেগে যান।রেগে গিতে আমাদের অফিস থেকে বের করে দেন। ]


You may also like...