ErrorException Message: Argument 2 passed to WP_Translation_Controller::load_file() must be of the type string, null given, called in /home/bengalis/public_html/wp-includes/l10n.php on line 838
https://www.bengalisarcasm.com/wp-content/plugins/dmca-badge/libraries/sidecar/classes/ ম্যাককালাম ভেবে বন্ধু আবুল কালাম কে ইচ্ছামতো বকে দিলেন বগুড়ার বাদল!

ম্যাককালাম ভেবে বন্ধু আবুল কালাম কে ইচ্ছামতো বকে দিলেন বগুড়ার বাদল!





আজ বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেজয় পেয়েছে ক্রিকেট জগতের অন্যতম পরাশক্তি সাউথ আফ্রিকাকে।

ভক্সহল স্ট্যান্ডে একটা মজার দৃশ্য দেখা গেল বিকেলে। ক্রমাগত গলা ফাটিয়ে যাচ্ছেন চার-পাঁচজন দক্ষিণ আফ্রিকান দর্শক। বাংলাদেশের কোনো বোলার বোলিং করতে এলেই তাঁরা ‘বুউউউউ’ করছেন। আর প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা এক রান নিলেও করতালি দিয়ে ‘সাবাশ, সাবাশ’ করছেন। এ গ্যালারিতে থাকা বাংলাদেশের দর্শকেরা এটি অনেকক্ষণ চুপচাপ হজম করলেন।

২৬ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২ উইকেটে ১৪৩। উইকেটে থিতু হয়ে গেছেন ফাফ ডু প্লেসি আর ডেভিড মিলার। ২৭তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজ এনে দিলেন গুরুত্বপূর্ণ এক ব্রেক থ্রু। এবার বাংলাদেশি দর্শকদের পায় কে! গ্যালারির ওপরের ধাপ থেকে নিচে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার দর্শকদের সামনে এসে চিৎকার করে, উল্লাস করে তাঁরা শুনিয়ে গেলেন, ‘বাংলাদেশ! বাংলাদেশ!’



মিরাজ ব্রেক-থ্রু এনে দেওয়ার ঠিক দুই ওভার পর আবার হাসি ফিরে পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকান দর্শকেরা—সাকিব আল হাসানের বলে মিড অফে ডেভিড মিলারের ক্যাচ ফেললেন সৌম্য সরকার। মুহূর্তে ওভালের গ্যালারি থেকে ভেসে এল আফসোসের ধ্বনি—‘ওহ…!’ যেহেতু লাল-সবুজের দর্শক বেশি আজ, করতালি-হর্ষধ্বনির শব্দ যেমন তীব্র, আফসোসের শব্দটাও তেমনি কানে বাজল।

বাংলাদেশের দর্শকদের এমন আফসোস শোনা গেল আরও বেশ কয়বার । ৩৪তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে আপার কাট করেছিলেন মিলার। থার্ডম্যানে একটু দেরিতে সাড়া দেওয়ায় বলটা হাতে জমাতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। মিলারকে শেষ পর্যন্ত আউট করেছেন মোস্তাফিজই। তবে সৌম্য-মাহমুদউল্লাহ যদি ক্যাচ ঠিকঠাক হাতে জমাতে পারতেন, মিলারের ওই রানটাও করা হয় না। ক্যাচ হাতছাড়া, অন্তত তিনটি রানআউট হাতছাড়া—বারবার হাফ চান্স হাতছাড়ার আফসোসে পুড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।

ভাগ্যও কখনো কখনো খেলেছে বাংলাদেশকে নিয়ে। মোস্তাফিজের বলে জেপি ডুমিনি যেমন এলবিডব্লুর হাত থেকে বেঁচে গেলেন রিভিউ নিয়ে। অসাধারণ ব্যাটিংয়ের পরও বাংলাদেশের দর্শকদের যে ‘উহ-আহ’ করতে হলো, হাফ চান্সগুলো কাজে না লাগাতে পারায়।



নাহ্! শোষ পর্যন্ত এসব ‘উহ-আহ’ মধুর স্মৃতি হয়েই রইল বাংলাদেশের কাছে। যাবতীয় ‘দুর্ভাগ্য’ ফুৎকারে উড়ে গেল মাশরাফি, সাকিবদের পেশাদারি পারফরম্যান্সের কাছে। ওভালকে ‘লাল-সবুজ’ রঙের আঁধার বানিয়ে বিশ্বকাপে শুভ সূচনাটা হয়ে গেল বাংলাদেশের।জন্য এমন দিন বারবার আসুক এবারের বিশ্বকাপে।

আর এই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটার ব্রান্ডড ম্যাককালাম করে ফেলেছিল আরেক হিসেব। তার গড় পরাতায় বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচেই হারবে সাউথ আফ্রিকার সাথে। কিন্তু সেটি সম্ভব হলো না।ম্যাককালাম এর প্রেডিকশন ভুল প্রমাণ করিয়ে বাংলার বাঘেরা ছিনিয়ে নিয়ে এল বিজয়।

আর এতেই ম্যাককালাম এর উপর ক্ষেপে গেলেন বগুড়ার বাদল। ম্যাককালাম কে কাছে না পেয়ে বাল্য বন্ধু আবুল কালামের উপর শোধ নিলেন তিনি।

‘বন্ধু আমাকে এভাবে বকা দিচ্ছো কেন?আমি কি করেছি বন্ধু?’ বন্ধু আবুল কালামের এমন প্রশ্ন শুনে আরো চড়াও হন বাদল।

তুই কি করেছিস হারাম জাদা জানোস না?আবার জিগাচ্ছিস। তুই বলেছিস আজ বাংলাদেশ নাকি হারবে। কেন বলেছিস? এখন জবাব দে।

আবুল কালাম এমন প্রশ্ন শুনে ভয় পেয়ে বলে উঠে, বন্ধু এমন কথা আমি তো বলি নি। এটা বলেছে নিউজল্যান্ডের দুষ্টু ছেলে ব্রান্ডেড ম্যাককালাম ’ তাকে গিয়ে বকে আসো।

ওরে শালা জানোয়ার তোর নামের শেষেও কালাম আছে। তুই কি ভুলে গেছিস। বলে বন্ধুকে খানিকক্ষণ বকে দেন বগুড়ার বাদল



You may also like...