নিজের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ না করায় ইভিএমে ভোট দিতে না পারায় হিরু আলমের ক্ষোভ!




নিজের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ না করায় ইভিএমে ভোট দিতে না পারায় হিরু আলমের ক্ষোভ!
 
জমজমাট প্রচার-গণসংযোগ, ভোটারের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীদের বিরামহীন ছোটাছুটি। দলের প্রার্থীর জন্য কর্মীদের দৌড়ঝাঁপ। ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে উৎসবে মাতেন প্রার্থী–ভোটাররা। তবে শঙ্কাও ছিল, এখনো আছে, শেষ পর্যন্ত ভোটটা সুষ্ঠুভাবে হবে তো। ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন তো।
 
আজ শনিবার সকাল আটটা থেকে রাজধানী ঢাকার দুই সিটির পরবর্তী ‘অভিভাবক’ বেছে নিতে ভোট দেওয়া শুরু করেছেন ভোটাররা। সকাল আটটা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। দুই সিটিতে দুজন মেয়র, ১২৯ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ৪৩ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নির্বাচন করবেন ভোটাররা।
 
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হচ্ছে ইভিএম প্রযুক্তিতে। প্রথমবারের মতো ব্যালটে সিল মারাবিহীন পুরো একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। শুক্রবারই কঠোর নিরাপত্তায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ভোটকেন্দ্রগুলোতে মক ভোট অনুষ্ঠিত হয়।




 
নিরাপত্তাকর্মীরা অবস্থান করছেন কেন্দ্রে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাও বলেছেন, তিনি কখনো পক্ষপাতমূলক নির্বাচন করেননি, এবারও করবেন না। ইভিএমে কোনোভাবেই কারচুপির সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও বিএনপি গতকাল শুক্রবারও ইভিএমে ভোট নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছে।
 
এবারের সিটি নির্বাচনে ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন ৬ জন। কাউন্সিলর পদে ২৫১ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৭৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উত্তর সিটিতে ওয়ার্ড রয়েছে ৫৪টি। ঢাকা দক্ষিণে ৭ জন মেয়র পদের জন্য লড়ছেন। কাউন্সিলর পদে ৩৩৫ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী প্রার্থী হয়েছেন ৮২ জন। দক্ষিণে ৭৫টি ওয়ার্ড। ঢাকায় ভোটার সংখ্যা ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৭ জন। ঢাকা উত্তর সিটির ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৩১৮। এসব কেন্দ্রে ভোটকক্ষের সংখ্যা ৭ হাজার ৮৪৬টি। দক্ষিণ সিটিতে ১ হাজার ১৫০টি ভোটকেন্দ্র এবং ভোটকক্ষ রয়েছে ৬ হাজার ৫৮৮টি।
 
এবার ঢাকা উত্তরে ৮২৬ আর দক্ষিণে ৭২১টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও নজরদারি থাকবে। ইভিএমে ভোট হওয়ায় ভোটের ফলাফল ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার ৪ ঘণ্টার মধ্যে জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। অবশ্য কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফল ঘোষণার জন্য এক ঘণ্টাই যথেষ্ট বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা।
 




এদিকে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি কেন্দ্রে বগুড়া থেকে ঢাকায় ভোট দিতে ছুটে আসেন হিরু আলম। তিনি জানান তিনি প্রার্থী হিসেবে আতিক ভাই কে ভোট দিতে চান। আর কাউন্সিলর হিসেবে ডেইজি আপাই তার পছন্দ।
 
কিন্তু ভেতর গিয়ে সব বন্ডুল হয়ে যায়।
 
ইভিএমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ না করায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন হিরু আলম। তারপর তিনি বাইরে এসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আগেই জানতাম এসব ইভিএম ভুয়া। তাইতো চেক করতে আমি আমি বগুড়া থেকে ছুটে এসেছি। যা হবার তাই হলো।
 
এই যে দেখেন আমার ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ করছে না।তাই বিএনপির উচিত এই নিবারচন বয়কট করা।’বলে হনহন করে কেন্দ্রে থেকে বেরিয়ে যান হিরু আলম।
 
জানা যায় তিনি বিকেল ৫ টার বাসে নিজের বাড়ি বগুড়া ফিরে যাবেন




You may also like...